টরন্টোতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৭০ বছর উদযাপন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৭০ বছর উপলক্ষে কানাডার টরন্টোতে বসবাসকারী সংগঠনটির প্রাক্তন সদস্যরা আয়োজন করেন 'গৌরবের ৭০ বছর' শীর্ষক অনুষ্ঠানের। 

স্থানীয় সময় ১২ জুন রোববার টরন্টোর রয়েল কানাডিয়ান লিজিয়ন হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কবিতা আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশন, স্মৃতিচারণ এবং মতবিনিময়ের মধ্যে দিয়ে শতাধিক ছাত্রনেতা আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছিলেন। 

আলোচনা পর্বে বক্তরা বলেন, ১৯৫২ সালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রগতিশীল, বিজ্ঞানমনস্ক এবং অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে এ সংগঠনের অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে সব সময় উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা থাকবে।

ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সদস্যরা জানান, তারা আজীবন সুন্দর সমাজ এবং মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাবেন। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা ও অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক মাহাবুব আজাদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সহ-সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ দুজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আজফার সৈয়দ ফেরদৌস।  

ছাত্র রাজনীতি নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন অর্থনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা ড. আজিজুল হক, মাসুক মিয়া, প্রাক্তন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা দেলওয়ার এলাহী, মনোরঞ্জন তালুকদার, আকরাম সাইয়েদ হেলাল এবং কানাডা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন নেতা মিনারা বেগম। 

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উদ্যোগ কানাডার আহ্বায়ক বিদ্যুৎ রঞ্জন দে, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী আলেয়া শরাফী, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উদ্যোগ কানাডার আহ্বায়ক মাহবুব আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন নেতা মনিরুজ্জামান রাজু, টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনিস রফিক এবং বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি আসাদ চৌধুরী। 

শারমিন শরীফ শর্মী এবং সোলায়মান তালুত রবিনের সঞ্চালনায় 'গৌরবের ৭০ বছর' অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জয় দাশ, মৈত্রেয়ী দেবী, মমতাজ মমতা, সুভাষ দাশ এবং শাজাহান কামাল। 

অনুষ্ঠান শেষে সমবেতভাবে কানাডা এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

10 ministries brace for budget cuts

The railway ministry, the power division, and the primary and mass education ministry will see the biggest chop.

10h ago