দক্ষিণ কোরিয়ায় জাতীয় শোক দিবস পালন

জাতিসংঘের দাপ্তরিক ছয়টি ভাষায় অনুদিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।  
গতকাল রোববার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।
পরে রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 
এই উপলক্ষে কোরিয়ান ভাষাসহ জাতিসংঘের দাপ্তরিক ছয়টি ভাষায় অনূদিত জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন রাষ্ট্রদূত।
এ ছাড়া 'মুজিববর্ষ' উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর দূতাবাস প্রাঙ্গণে তৃতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ বঙ্গবন্ধুর ওপর লিখিত বইয়ের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবসের আয়োজনের পরবর্তী অংশ অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুসহ সেই কালরাত্রিতে নিহত শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরবর্তীতে পূর্বধারণকৃত 'বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ব শান্তি' শীর্ষক অনলাইন আলোচনা সভা প্রদর্শন করা হয়। ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সদস্য সচিব ও কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান ও রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার বক্তব্যে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক নীতি ও বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি এবং বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি স্থাপনে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনলাইন আলোচনায় কোরিয়াতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ও অবদানের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনায় প্রবাসীরা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের প্রতি আলোকপাত করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Why landscape-based knowledge is critical for Bangladesh

How will we build the country without landscaping knowledge?

14h ago