৫ সেপ্টেম্বর জার্মানি থেকে শুরু হচ্ছে প্রবাসীদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা

অবশেষে প্রবাসীদের প্রতীক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। তাদের জন্য বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক 'ই-পাসপোর্ট' পাওয়ার পথ খুলছে।
জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাস। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে প্রবাসীদের প্রতীক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। তাদের জন্য বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক 'ই-পাসপোর্ট' পাওয়ার পথ খুলছে।

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বিদেশে প্রথম বাংলাদেশ মিশন হিসেবে জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট সেবা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে দূতাবাস সুত্র নিশ্চিত করেছে।

ইতোমধ্যে দূতাবাসের পাসপোর্ট শাখায় যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

এ ছাড়া ই-পাসপোর্টের একটি মোবাইল ইউনিটও দূতাবাসে পৌঁছেছে।

জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর জার্মানি ছাড়াও চেক রিপাবলিক ও কসোভোতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা নির্ধারিত ফি দিয়ে ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, জার্মানি, চেক রিপাবলিক ও কসোভোদে বসবাসরত বাংলাদেশিরা বার্লিনে না এসেই দূতাবাসের কন্স্যুলার ক্যাম্পে ভ্রাম্যমাণ ইউনিটের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

রাষ্ট্রদূত জার্মান মিশনে সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট সেবা গ্রহণের সুযোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের প্রতি আন্তরিক  কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট চালু করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। দেশের পর এখন প্রবাসেও এই সেবা সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। ই-পাসপোর্ট চালু হলে প্রবাসীরা এবং বাংলাদেশে বিদেশিরা আর হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হবেন না।

এদিকে ই-পার্সপোট কার্যক্রম শুরুর খবরে জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশিরা উচ্ছ্বসিত। বিশেষ করে প্রথম সুযোগ পাওয়ায়  নিজেদের গর্বিত মনে করছেন।

অনুভূতি জানাতে গিয়ে জার্মান বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান লিটন বলেন, জীবন জীবিকার তাগিদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা সোয়া এক কোটি প্রবাসী বাংলাদেশির জন্য এটা বড় প্রাপ্তি বলে আমরা মনে করছি। বাংলাদেশ উন্নয়নে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। আমরা কৃতজ্ঞ।

জার্মান প্রবাসী কমিউনিটি নেতা সেলিম ভূঁইয়া জানান,  'আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষিত জাতি হিসেবে  বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উচ্চ মর্যাদায় নিয়ে যেতে একটি যুগান্তরী উদ্যোগ ই-পাসপোর্ট প্রচলন। জার্মানের মতো উন্নত দেশ দিয়ে প্রবাসে এর সূচনা নিঃসন্দেহে লক্ষ্য পুরণে অবদান রাখবে।'

বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, নিসন্দেহে এটি জার্মান প্রবাসীদের জন্য আনন্দের খবর। ই-পাসপোর্টের সঙ্গে ই-গেট সেবা সংযুক্ত থাকায় বিমানবন্দরে এখন ইমিগ্রেশন সেবা স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে। আশা করি প্রবাসীরা আগের মতো হয়রানির শিকার হবেন না।

লেখক:  জার্মানপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Plastic most lethal among all waste

Plastics are silently piling on the environmental miseries of Bangladesh, one of the most climate change-vulnerable countries in the world.

9h ago