পর্তুগালে খোলা মাঠে ঈদের জামাত বাতিল

পর্তুগালের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় খোলা মাঠে ঈদুল আযহার নামাজের জামাত আয়োজনে প্রশাসনের অনুমতি পায়নি ঈদ উদযাপন কমিটি।
লিসবনের মাত্রিম মুনিজ পার্কে গত ঈদুল ফিতরে সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: স্টার

পর্তুগালের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় খোলা মাঠে ঈদুল আযহার নামাজের জামাত আয়োজনে প্রশাসনের অনুমতি পায়নি ঈদ উদযাপন কমিটি।

ফলে রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত স্থানীয় মাত্রিম মনিজ পার্কে পর্তুগালসহ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতের আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। গত ঈদুল ফিতরে এই মাঠে বড় জামাতটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

আসছে ২০ জুলাই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে পর্তুগালসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে।

খোলা মাঠে অনুমতি না পাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে মসজিদে নামাজের আয়োজন করা হচ্ছে।

লিসবন বায়তুল মোকারম জামে মসজিদ (বড় মসজিদ) ও মাত্রিম মনিজ জামে মসজিদে ঈদের আটটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বড় মসজিদ কমিটির সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জহিরুল আলম জসিম।

সকাল ৭, ৮, ৯ এবং ১০টায় বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া, মাত্রিম মনিজ জামে মসজিদে সকাল ৬টা ৪৫, ৭টা ৪৫, ৮টা ৪৫ এবং ৯টা ৪৫ মিনিটে এসব জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

অপরদিকে, পুর্তোর হযরত হামযা (রা:) জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম এবং সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

পর্তুগাল সরকারের সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে আসার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঈদুল আযহা উদযাপন কমিটিগুলো।

মাত্রিম মনিজ জামে মসজিদের ঈদুল আযহা উদযাপন কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দুই মসজিদে নামাজের ব্যবস্থা করেছি। জামাতে অংশগ্রহণকারীদের আহ্বান করব- সবাই ফেস মাস্ক, নিজস্ব জায়নামাজ ও বাসা থেকে অজু করে আসার জন্য।’

রাজধানী লিসবনসহ পর্তুগাল জুড়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ চার হাজারের ওপরে গিয়ে ঠেকেছে। মূল ভূখণ্ডে বসবাসরত প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ এখন করোনার উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রয়েছেন, যার সংখ্যা প্রায় ৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন।

গত দুই সপ্তাহে লিসবনের ডাউনটাউন, মোরারিয়া এবং বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় করোনার ভয়াবহ অবস্থা লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেক বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, যাদের বেশীরভাগেরই অক্সিজেন লেভেল নেমে যাওয়া ও বার বার বমি করার লক্ষণ রয়েছে।

মহামারি নিয়ন্ত্রণে ৯০টি সিটি করপোরেশনে উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ শহরগুলোতে বাধ্যতামূলক টেলিওর্য়াক বা ঘরে বসে অফিস করার জন্য বলা হয়েছে এবং রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফেটেরিয়া রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

লেখক: পর্তুগালপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Love road at Mirpur: A youthful street

Certain neighbourhoods in Dhaka have that one spot where people gather to just sit back and relax. For Mirpur, it’s the frequently discussed street referred to as “Love Road”.

5h ago