পর্তুগালে তিন ধাপে শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ

পর্তুগালে করোনা রোধে আরোপিত বিধিনিষেধগুলো তিন ধাপে শিথিল করা হচ্ছে। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া প্রথম ধাপে দেশব্যাপী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট ও সিনেমা হল ভোররাত ২টা পর্যন্ত খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, রাতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বা কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে।
এই ঘোষণা দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তার জানান, দেশের সব অঞ্চল ও শহরে একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে। এর আগে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় অঞ্চলভিত্তিক পৌর কর্তৃপক্ষগুলো নিজস্ব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতো।
প্রথম পর্যায়ে সাধারণ দর্শকের অংশগ্রহণে খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম, ৬৬ শতাংশ ধারণ ক্ষমতায় সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, ৫০ শতাংশ মানুষের উপস্থিতিতে যেকোনো সামাজিক, ধর্মীয় ও শেষকৃত্য অনুষ্ঠান পরিচালনা করা যাবে।
টেলিওর্য়াক আর বাধ্যতামূলক থাকছে না তবে তা সম্ভব হলে চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আকাশ বা সমুদ্রে ভ্রমণে, পর্যটন বা স্থানীয় আবাসনে, সাপ্তাহিক বা সাধারণ ছুটির দিনে রেস্টুরেন্টের ভেতরে বসে খেতে চাইলে, জিম-স্পা ও ক্যাসিনোতে ঢোকার আগে করোনার ডিজিটাল সার্টিফিকেট, করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার প্রমাণপত্র বা করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
এ ছাড়াও, যেকোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলা বা কর্পোরেট ইভেন্ট যেখানে বাইরের এক হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবে অথবা যেকোনো সামাজিক, ধর্মীয় ও শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যেখানে ১০ জনের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকবে সেখানেও এই সার্টিফিকেটগুলো দেখাতে হবে।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বা যখন দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় চলে আসবে তখন থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের স্বাভাবিককরণের উদ্যোগ।
সেসময় গণপরিবহনে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পরিবহন করতে পারবে এবং সরকারি সেবা পেতে আগে থেকে সাক্ষাৎকারের সময় নির্ধারণ করতে হবে না।
আগামী অক্টোবর থেকে বা দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় চলে আসার পর তৃতীয় ধাপে বার ও ক্লাবগুলো আবার খোলা যাবে। তবে সেখানে ঢোকার আগে করোনার ডিজিটাল সার্টিফিকেট বা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে।
সেসময় রেস্টুরেন্টে দলবদ্ধভাবে প্রবেশে কোনো বাধা থাকবে না। যেকোনো সামাজিক, ধর্মীয় ও শেষকৃত্য অনুষ্ঠানেও অংশ নেওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যদি টিকাদান কর্মসূচি ঠিক মতো শেষ হয় তাহলে নির্ধারিত সময়ের আগেই সবকিছু স্বাভাবিক করা হবে। তবে তিনি সামাজিক দূরত্ব ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শও দিয়েছেন।
মো. রাসেল আহম্মেদ: পর্তুগালপ্রবাসী সাংবাদিক
Comments