ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের অযথা জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না: বিমান প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা বিমানবন্দরে প্রয়োজন ছাড়া যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না ইমিগ্রেশন পুলিশকে সতর্ক করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী। যাত্রীদের হয়রানি করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
বেসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী আজ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন পরিষেবা পরিদর্শন করেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিমানবন্দরে প্রয়োজন ছাড়া যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না ইমিগ্রেশন পুলিশকে সতর্ক করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী। যাত্রীদের হয়রানি করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।

আজ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন পরিষেবা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী। তিনি এ সময় যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন।

মাহবুব আলী বলেন, বিমানবন্দরের কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী দায়িত্ব পালনে অবহেলা পাওয়া গেলে বা যাত্রী হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রত্যেক যাত্রীকে যেন জিজ্ঞাসাবাদ করা না হয়, হয়রানি করা না হয়। যাদের তারা প্রয়োজন মনে করবেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। প্রয়োজনে তাদের আলাদা করে জিজ্ঞাসা করা হবে।'

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাস্টমসের সঙ্গে কথা হয়েছে, যাতে সব যাত্রীর ব্যাগ চেক করা না হয়। কেবল তথ্যের ভিত্তিতে যাকে সন্দেহ হবে, তাকে চেক করা হবে এবং ১ থেকে ২ শতাংশ যাত্রীকে আলাদাভাবে নিয়ে চেক করতে হবে। চেক করতে গিয়ে যাত্রীদের আসা–যাওয়ায় যাতে কোনো হয়রানি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিমানবন্দরে এসে সেবা নির্বিঘ্ন করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে। শিগগিরই যাতে ই-গেট চালু হয়, সেটির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটা দল করা হয়েছে। সপ্তাহে তিন দিন মন্ত্রণালয়ের লোকজন বিমানবন্দরে থাকেন। কোনো অব্যবস্থাপনা হয় কি না তারা দেখেন। আমরা এখানে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন সেবার মান ভালো। ইমিগ্রেশনে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি।

বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মাহবুব আলী বলেন, বিমানবন্দরে যার যারা ডিউটি করে তাদের নির্দিষ্ট সময়ের আধঘণ্টা আগে ঢুকতে হবে। ডিউটি শেষে বের হতে হবে। যাতে আমরা যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে পারি। বহির্বিশ্বে বিমানবন্দরগুলোতে যেমন সেবা দেওয়া হয়ে থাকে সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট আছি।

হজ ফ্লাইট প্রসঙ্গে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩১ মে যাতে হজ ফ্লাইট শুরু করা যায় সেজন্য প্রস্তুতি আছে। কিন্তু হজে যারা যাবেন, বাড়ি ভাড়া এবং মোয়াল্লেম নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো করতে পারেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়গুলো এখনো পরিষ্কার হয়নি। তবে আমাদের বিশ্বাস নির্দিষ্ট সময়ে কাজগুলো সম্পন্ন করবে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়গুলো দেখছে। আমাদের বিশ্বাস এই সময়ের মধ্যে সব হয়ে যাবে। আনুষ্ঠানিকভাবে ৩১ মে হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করা হবে।

হজ ফ্লাইট পরিচালনায় নিয়মিত ফ্লাইটের শিডিউলে সমস্যা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিমানের বহরে ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে চারটি বোয়িং-৭৭৭। ২০১৯ সালে এই চারটি দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছিল। এ বছরও সেটি করা হবে। এতে বিমানের অন্যান্য গন্তব্যের শিডিউল ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি আমরা কমিয়ে দেব। কম গুরুত্বপূর্ণ ও কম লাভজনক রুটের ফ্রিকোয়েন্সি কমানো হবে। এটা দুই মাসের বিষয়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি কমানো হবে না।

Comments