রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে অস্ট্রেলিয়া

ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন আবারো জোর দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া কোনো সামরিক ব্যবস্থা নেবে না। তবে অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ৮ সদস্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ব্যাংক এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্কযুক্ত ব্যাংকগুলো এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হবে।

পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ধাপের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা শুরু করার পর দেশটির ফেডারেল ক্যাবিনেটের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত এসেছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি অভিবাসন মন্ত্রীকে অস্ট্রেলিয়ায় মানবিক ভিসা আবেদনে ইউক্রেনীয়দের অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করতে বলেছেন।

ইউক্রেনীয় এবং ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'উদার গণতন্ত্রপন্থীদের একসঙ্গে থাকতে হবে। অন্যান্য অনেক দেশ, এমনকি তারা গণতন্ত্রী না হলেও যারা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের নীতিতে বিশ্বাস করে আমাদের একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে এবং অস্ট্রেলিয়া সবসময় তা করবে।'

ইউক্রেনে আগ্রাসন কার্যকরভাবে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে মরিসন আজ বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যেই সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে এবং ইউক্রেনের 'সামরিক সাইবার' সক্ষমতাকে সমর্থন করছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আজ অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগের সচিবের সঙ্গে দেখা করবেন।

ইউক্রেনীয় দূতাবাসের প্রধান ভ্লোদিমির শালকিভস্কি অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে একীভূত অবস্থান দেখানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, 'আমরা পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ এড়াতে চাই। কূটনীতির জন্য এখনও দরজা খোলা আছে। কিন্তু আমরা স্বাধীনতার মৌলিক নীতিগুলো বলি দিতে প্রস্তুত নই।'

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
ACC probing AL's 15yrs of financial irregularities

Awami League tenure: ACC probing 15yrs of financial irregularities

The Anti-Corruption Commission (ACC) has launched an investigation into alleged corruption by individuals, financial institutions, industrial groups, and loan defaulters during the Awami League’s 15-year tenure, which it claims led to the destruction of the country’s financial system.

6h ago