সিডনিতে ঈদ বাজার ও ফ্যাশন শো

গ্রান্ড সিডনি ঈদ বাজারের আকর্ষণীয় ফ্যাশন শো। ছবি: সংগৃহীত

'আমি যখন বাংলাদেশিদের কোনো অনুষ্ঠান কিংবা উৎসবে যাই তখন গর্বিত হই। কারণ, বিশ্বের বুকে অস্ট্রেলিয়াকে বহুসংস্কৃতির দেশ হিসেবে যারা শ্রেষ্ঠত্ব দানে অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশিরা অন্যতম।'

কথাগুলো বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের বহুসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী মার্ক জোসেফ কোর। বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ফ্যাশন এসোসিয়েশন আয়োজিত গ্রান্ড সিডনি ঈদ বাজারের শেষ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম, সংসদ সদস্য ওয়েন্ডি লিন্ডসে, জিহাদ ডিব, ডেপুটি মেয়র বিলাল এল হায়েক প্রমুখ।

ছবি: সংগৃহীত

ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীদের কেনাকাটার সুবর্ণ সুযোগের জন্য আয়োজন করা হয় 'গ্র্যান্ড সিডনি ঈদ বাজার'। সবার জন্য উন্মুক্ত আয়োজনটি ছিল ভীষণ বর্ণাঢ্য। প্রবাসী নারী উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব ডিজাইনের পোশাক, গয়না, হস্তশিল্পসহ দেশীয় সম্ভার নিয়ে স্টল সাজিয়েছিলেন। তারা তাদের ব্যবসা বিস্তারে পেয়েছিলেন চমৎকার সুযোগ।

অস্ট্রেলিয়ার বহুসাংস্কৃতিক ও বৈচিত্র্যময় উৎসবগুলোর অন্যতম গ্রান্ড সিডনি ঈদ বাজারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও ব্যতিক্রমী পর্ব ছিল ফ্যাশন শো। বিভিন্ন দেশের মডেল এই শোতে অংশ নেন।

সংগঠক তাম্মি পারভেজ, সাজেদা আক্তার সানজিদা, তাফতুন নাহার নিতু ও নাহিদা সুলতানের নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমে উৎসবটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠে।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ফ্যাশন এসোসিয়েশন মূলত একটি বাংলাদেশি বুটিক সংস্থা। এটি অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি ফ্যাশন ডিজাইনার, বুটিক মালিক ও উদ্যোগীদের একটি প্লাটফর্মে সংযুক্ত রাখার পাশাপাশি বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখার কাজ করছে।

বিশাল এই আয়োজনে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন 'প্রভাত ফেরী' পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও অস্ট্রেলেশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির সিইও শ্রাবন্তী কাজি আশরাফী।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments

Fast fashion, fat margins: How retailers cash in on low-cost RMG

Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments, buying at $3 and selling for three to four times more. Yet, they continue to pressure factories to cut prices further.

13h ago