১৮ মাস পর কাল খুলছে অস্ট্রেলিয়ার দুয়ার

প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল বুধবার খুলছে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত।

বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, দক্ষ শ্রমিক ও পর্যটক দেশটির ভিসা থাকা সত্ত্বেও করোনা মহামারির বিধিনিষেধের কারণে সেখানে প্রবেশ করতে পারছিলেন না।

বিধিনিষেধ শিথিল করে গত ১ ডিসেম্বর থেকে সীমান্ত খোলার ঘোষণা দিলেও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিস্তার রোধে ২ সপ্তাহের জন্য তা স্থগিত করা হয়।

ফেডারেল সরকার গত ২৯ নভেম্বর ঘোষণা দিয়েছিল যে ওমিক্রনের কারণে আন্তর্জাতিক ছাত্র ও দক্ষ অভিবাসীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সীমানা খোলার বিষয়টি ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হবে।

সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, সাময়িক বিরতিতে নিশ্চিত হওয়া দরকার যে অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা, অসুস্থতার হার ও এটি আরও খারাপ লক্ষণ তৈরি করে কি না।

এতে আরও বলা হয়, সংক্রমণের মাত্রা আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট গত সোমবার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন যে, আন্তর্জাতিক ছাত্র ও দক্ষ অভিবাসীসহ যোগ্য ভিসা ধারকদের জন্য আগামী বুধবার পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমানা আবার খোলা হবে।

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় মন্ত্রিসভার আলোচনা ও প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তার পরামর্শ সমন্বয় করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।'

এই এগিয়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে, ১৫ ডিসেম্বর থেকে ভিসাধারক আন্তর্জাতিক দক্ষ শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মানবিক, কাজের ছুটি ও অস্থায়ী পারিবারিক ভিসা ধারকদের জন্য সীমান্ত আবার খুলে দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রনের আঘাত ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে আরও আলোচনার জন্য আজ মঙ্গলবার জাতীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন।

বৈঠক শেষে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ানরা নিশ্চিত হতে পারেন যে আমরা কোভিড এবং এর উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য শক্তিশালী অবস্থানে আছি। আমরা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে মহামারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া চালিয়ে যাব।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে এখন  নিরাপদে আন্তর্জাতিক সীমানা খুলতে পারি এবং এটি নিরাপদে খোলা রাখতে পারি। কারণ আমরা ভাইরাসের সঙ্গে বাঁচতে শিখে গেছি।'

প্রায় ২ বছর আন্তর্জাতিক সীমানা বন্ধ থাকায় অস্ট্রেলিয়া ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতি ও দক্ষ শ্রমিকের সংকটে পড়ে। দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিক ছাড়াও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা নানা প্রতিষ্ঠানের শ্রম চাহিদা পূরণ করে থাকেন।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Advisory council set to hold emergency meeting this evening

Sources from the CA office confirmed that the meeting will take place at the State Guest House, Jamuna

20m ago