আইনস্টাইনের অজানা গল্প

নোবেল পুরস্কার জয়ী জার্মান পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইন। ছবি: উইকিমিডিয়া পাবলিক ডোমেইন

নোবেল পুরস্কার জয়ী জার্মান পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইনের নাম মোটামুটি সবাই শুনেছেন।

খুব কম মানুষই আছেন যারা তার আপেক্ষিকতার সূত্র ও ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র (ই=এমসি স্কয়ার) সম্পর্কে জানেন না। তবে এর বাইরেও তার জীবনে অনেক অজানা গল্প আছে, যেগুলো উঠে এসেছে রিপ্লিজ বিলিভ ইট অর নটের এক প্রতিবেদনে

তিনি নৌকা চালাতে ভালোবাসতেন

সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত মানুষগুলোরও কখনো কখনো সূত্র, পরীক্ষা নিরীক্ষা ও লেখার কাজ থেকে মুক্তি প্রয়োজন হয় এবং এ ক্ষেত্রে শখের ভূমিকা অনেক বড়। আইনস্টাইনের প্রিয় শখ ছিল নৌকা চালানো। তিনি সারা জীবনই এ বিষয়ে অনেক উৎসাহী ছিলেন, তবে কখনোই দক্ষ নাবিক হতে পারেননি।

তার নৌকার নাম ছিল টিনেফ (যে বস্তুর কোনো মূল্য নেই) এবং কথিত আছে, নৌকাটি তার নামের প্রতি বারবার সুবিচার করেছে। প্রায়ই দূরবর্তী কোনো দ্বীপে ভাসমান অবস্থায় নৌকাটিকে উদ্ধার করে আনতে হতো।

এফবিআইয়ের নজরদারিতে ছিলেন আইনস্টাইন

তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জে এডগার হুভারের প্রশাসন আইনস্টাইনের বিষয়ে খুবই সন্দিহান ছিল। বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে সমর্থনের কারণে ১৯৩২ সালের ডিসেম্বর থেকে আইনস্টাইনকে নজরদারিতে রাখে এফবিআই।

তারা বিশ্বাস করতেন আইনস্টাইন একজন সমাজতান্ত্রিক অথবা বিদ্রোহী মানসিকতার মানুষ এবং এ কারণে তিনি সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ফলে তাকে এফবিআই বিপজ্জনক মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতো এবং তার নামে তৈরি করা প্রতিবেদনে পৃষ্ঠার সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ ছাড়িয়ে গেছিল।

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাকে 

বলাই বাহুল্য, বিশ্ব জুড়ে সম্মানিত ও গ্রহণযোগ্য নাম হিসেবে আইনস্টাইনের তুলনা নেই। তিনি ইসরায়েলের নাগরিক না হওয়া সত্ত্বেও দেশটির প্রথম নেতা চেইম ওয়েজমানের মৃত্যুর পর তাকে এ পদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তিনি এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ হিসেবে জানান, তার এই পদ ধারণের যোগ্যতা, ইচ্ছে কিংবা ধৈর্য—কোনোটিই নেই।

মোজা পরতেন না আইনস্টাইন!

তিনি খুবই সম্মানিত ও অসামান্য একজন বিজ্ঞানী ছিলেন, কিন্তু তার এই সৃজনশীল সত্ত্বার পাশাপাশি বেশ উদ্ভট কিছু স্বভাবের জন্যেও তাকে সবাই মনে রেখেছে। তার এলোমেলো ঝাঁকড়া চুলের কথা আমরা জানি, কিন্তু তিনি যে মোজা জিনিসটাকে একেবারেই ঘৃণা করতেন, সেটা মনে হয় না তেমন কেউ জানেন!

রিপলি'স বিলিভ ইট অর নট থেকে অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Businesses oppose Ctg port tariffs hike

They said not to increase the rate by 41% at a time, but rather do it in phases

1h ago