ঈদের বাজারে টাকাও পণ্য!

চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় নতুন টাকা কেনার দোকান। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

পণ্য কেনাবেচা চলে যে টাকা দিয়ে, ঈদকে ঘিরে সে টাকাও এখন 'পণ্য'! ঈদে নতুন জামা-জুতার মতোই বিক্রি হচ্ছে নতুন টাকা।

অন্যান্য পণ্যের মতো এ পণ্য বিক্রিতেও লাভ করছেন বিক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে চলে দর কষাকষি। ঈদের সালামি হিসেবে শিশুরা নতুন টাকা চায় বলে অভিভাবকরাও টাকা দিয়ে নতুন টাকা কিনছেন।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ২০-২৫ জন ব্যবসায়ী নতুন টাকার পসরা নিয়ে বসেছেন। প্রত্যেকের কাছে ২-৩ লাখ টাকার নতুন নোট। টাকার দোকানকে ঘিরে ক্রেতাদের ভিড়ও ছিল প্রচুর।

ব্যবসায়ীরা জানান, তারা প্রত্যেকে দৈনিক গড়ে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার নতুন নোট বিক্রি করতে পারছেন।

৫০ টাকা নোটের এক বান্ডিল ২৫০ টাকা লাভে বিক্রি হয় ৫ হাজার ২৫০ টাকায়।। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

দুই টাকা নোটের এক বান্ডিল (১০০টি নোট) ৩০ টাকা লাভে বিক্রি হয় ২৩০ টাকায়। পাঁচ টাকার এক বান্ডিল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা লাভে ৫৬০ টাকায়।

১০ টাকা নোটের এক বান্ডিল ৮০ টাকা লাভে বিক্রি হয় ১ হাজার ৮০ টাকায়। ২০ টাকা নোটের এক বান্ডিল ১০০ টাকা লাভে বিক্রি ২ হাজার ১০০ টাকায়।

৫০ টাকা নোটের এক বান্ডিল ২৫০ টাকা লাভে বিক্রি হয় ৫ হাজার ২৫০ টাকায়।

১০ টাকা নোটের এক বান্ডিল ৮০ টাকা লাভে এবং ২০ টাকা নোটের এক বান্ডিল ১০০ টাকা লাভে বিক্রি হচ্ছে। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

জানা যায়, ঈদকে ঘিরে সাধারণ জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রামের জন্য দুই দফায় ১ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকার নতুন নোট বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা নোটের মোট ১৮ হাজার টাকা বিনিময় করতে পারছেন গ্রাহকরা। এতে দিতে হচ্ছে আঙুলের ছাপ। 

তবে নগরীর ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় নতুন টাকা পাওয়া যাচ্ছে আঙুলের ছাপ ছাড়াই।

নতুন নোট বিনিময়ের জন্য নির্ধারিত ব্যাংকের শাখাগুলো হলো-ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড অক্সিজেন শাখা, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড বহদ্দারহাট শাখা, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড হালিশহর শাখা, এবি ব্যাংক লিমিটেড ইপিজেড শাখা এবং প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড আইবিবি পাহাড়তলী শাখা।

নতুন নোট কিনতে আসা শফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নতুন জামা-জুতার মতোই বাচ্চারা নতুন টাকার আবদার করে। নতুন টাকা শিশুদের আনন্দকে দ্বিগুণ করে। তাই বাড়তি টাকা দিয়ে টাকা কিনতে এখানে এসেছি।'

নতুন টাকা বিক্রেতা মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, '২ টাকা ও ৫ টাকা নোটের চাহিদা বেশি থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক গত কয়েক বছর ধরে ঈদে তা বাজারে দিচ্ছে না। তাই ব্যবসা আগের মতো ভাল হচ্ছে না।'

এভাবে টাকা বিক্রি আইনত অবৈধ হলেও চাহিদা থাকায় তারা এ ব্যবসা করছেন বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Army chief urges leadership reform in Bangladesh

Bangladesh belongs to all: Army Chief at Janmashtami rally in Dhaka

General Waker-Uz-Zaman says armed forces will stand by citizens to preserve harmony

42m ago