ছুরি-বঁটির দোকানে বাড়ছে বিক্রি

গরুর হাটগুলোর পাশাপাশি ক্রেতারা এখন ভিড় করছেন দা-ছুরি-চাপাতির দোকানগুলোতে। কামারের পণ্যের দোকানগুলোতে টুংটাং শব্দ জানান দিচ্ছে আর কদিন পরই ঈদুল আজহা।

গরুর হাটগুলোর পাশাপাশি ক্রেতারা এখন ভিড় করছেন দা-ছুরি-চাপাতির দোকানগুলোতে। কামারের পণ্যের দোকানগুলোতে টুংটাং শব্দ জানান দিচ্ছে আর কদিন পরই ঈদুল আজহা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন তাদের বিক্রি দিন দিন বাড়ছে। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে তাদের ব্যবসা এবার গত বছরের তুলনায় ভালো হবে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পূর্ব প্রান্তে রেললাইন ঘেঁষে প্রায় ৩০টি দোকানে বিক্রি হয় ছুরি, চাপাতি, কুড়াল, দা ও বঁটি। বছরের অন্যান্য সময় সেখানে তেমন ব্যস্ততা না থাকলেও কোরবানির ঈদের আগে সেখানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।

কারওয়ান বাজারের রফিক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের ১০-১৫ দিন আগ থেকেই অর্ডার পেতে শুরু করেছি। বিক্রি দিন দিন বাড়ছে। আশা করছি এবার ব্যবসা ভালো হবে।

প্রায় একই মন্তব্য করেন একই বাজারের মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, গত বছর এই সময় দৈনিক ২০-৩০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেছি। এখন দিনে ১০-১৫ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়ার আশা আছে।

বিক্রেতারা জানান, মান ও আকারভেদে মাংস কাটার ছুরি ১০০-৩০০ টাকা, চামড়া ছাড়ানোর ছুরি ৫০-২০০ টাকা, চাপাতি কেজিপ্রতি ৪০০-৭০০ টাকা, দা-বঁটি কেজিপ্রতি ৪০০-৮০০ টাকা, ছোট দেশি কুড়াল ৪০০-৮০০ টাকা, চীনা কুড়াল ৮০০-১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বগুড়ার সদর উপজেলার আসোকোলা গ্রামের সুদর্শন কর্মকার বলেন, গত বছরের ঈদুল আজহার তুলনায় এবার অর্ডার ও বিক্রি বেশি। কিন্তু লাভ কম। গত বছর দিনে ২ হাজার টাকার কাজ করেছি। এবার ৩ হাজার টাকার কাজ হচ্ছে। কারণ লোহার দাম বেড়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের কামার খোরশেদ আলম বলেন, আমরা কম-বেশি সারা বছরই অর্ডার পাই। তবে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়েছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় আমরা এখন আর নতুন অর্ডার নিচ্ছি না।

তিনি বলেন, আগে যে অর্ডারগুলো নিয়েছি সেগুলো সরবরাহ করার জন্য এখন আমরা কাজ করছি। বেশ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।

আলম মনে করছেন, এ বছর তাদের ব্যবসা গত বছরের চেয়ে অন্তত ১০ শতাংশ বেশি হবে। তিনি বলেন, 'ঈদের মৌসুমে সব খরচ বাদে ৪০-৫০ হাজার টাকা আয় হবে।'

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, এ বছর দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২১ লাখ। গত বছরের তুলনায় এটা ২ লাখ বেশি।

বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখওয়াত উল্লাহ জানান, ঈদুল আজহায় তাদের ১ কোটি চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আছে।

Comments