পাবনার বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল উধাও

ফাইল ছবি

ঈদের আগে প্রিয়জনের জন্য পোশাক কিনতে ক্রেতারা যখন বিপণি বিতানগুলোতে ভিড় করছেন তখন পাবনা শহরের রাধানগর এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন সয়াবিন তেল কিনতে দোকানে দোকানে হন্যে হয়ে ঘুরছেন।

মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ৫ লিটার তেলের বোতল কেনার জন্য শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় দোকানে দোকানে ঘুরেছি, কিন্তু তেল কিনতে পারিনি। পরিচিত এক দোকানির কাছ থেকে ১ লিটার তেল নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।

তার মতো শত শত ক্রেতা গত কয়েকদিন ধরে ঘুরে তেল কিনতে পারেননি। ঈদ যতো এগিয়ে আসছে সংকটও তত বাড়ছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে চাহিদা বাড়লেও তেল আমদানিকারী কোম্পানিগুলো সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।

পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডের নান্নু স্টোরের মালিক মো. মন্টু দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কোম্পানিগুলো এখন অর্ধেক তেল সরবরাহ করছে। অথচ ঈদের আগে চাহিদা বেড়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ধরনা দিয়েও চাহিদামতো বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না।

পাবনা শহরের কুঠিপারা এলাকার রাইসুল ইসলাম বলেন, ঈদ এবং আগামী এক মাসের জন্য ৮ লিটার সয়াবিন তেল প্রয়োজন। গত দুই দিন পাবনার বড় বাজার, আব্দুল হামিদ রোডের বিভিন্ন দোকানে ঘুরেও এক বোতল তেল কিনতে পারিনি। অবশেষে সোমবার লাইব্রেরি বাজারের এক পরিচিত দোকানীকে অনুরোধ করে ৫ লিটারের এক বোতল তেল ৭৯০ টাকায় কিনেছি।

পাবনা শহরের পইলানপুর মোরের দোকানি মো. টিটু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পাইকারি বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না বলে ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। বোতলজাত তেলের সংকট থাকলেও খোলা তেলের সংকট নেই।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, সিটি গ্রুপের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তার কর্ম এলাকায় স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২০ কেস তেল প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন কোম্পানি এ চাহিদা পূরণ করে। হঠাৎ করে খোলা তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ কোম্পানি বোতলজাত তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণেই সংকট তৈরি হয়েছে।

পাবনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এবিএম ফজলুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আকস্মিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার পর আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই সংকটের জন্য জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দায়ী নয় বলে দাবি করে ফজলু বলেন, তেল কোম্পানিগুলো কারসাজি করে সংকট তৈরি করেছে।

পাবনা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সহকারী পরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা বাজারে মনিটরিং শুরু করেছি।

সংকটের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বোতলজাত তেলের চেয়ে খোলা তেলের দাম বেশি হওয়ায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

6h ago