উড়োজাহাজে সাপ, বাধ্য হয়ে গন্তব্য পরিবর্তন

মালয়েশিয়ার বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা এয়ারএশিয়ার একটি আভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সাপ খুঁজে পাওয়ায় এর গন্তব্য পরিবর্তন করা হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। 
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা এয়ারএশিয়ার একটি আভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সাপ খুঁজে পাওয়ায় এর গন্তব্য পরিবর্তন করা হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। 
 
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে তাওয়াউগামী ফ্লাইটের বেশ কয়েকজন যাত্রী বুঝতে পারেন তাদের সঙ্গে সহযাত্রী হিসেবে একটি সাপও আছে!
 
একজন যাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে দেখা গেছে উড়োজাহাজের একটি আসনের ওপর সাপটি চুপচাপ বসে আছে। 

এয়ারএশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা লিয়ং টিয়েন লিং ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, 'এটি খুবই বিরল একটি ঘটনা এবং যেকোনো উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে সময়ে সময়ে এরকম ঘটতে পারে।'

বৈমানিক এই অনাকাঙ্ক্ষিত সহযাত্রীর বিষয়টি জানার পর উড়োজাহাজের গন্তব্য পরিবর্তন করে নিকটবর্তী শহর কুচিংয়ে অবতরণ করেন।
  
কুচিং বিমানবন্দরে পুরো উড়োজাহাজকে জীবাণুমুক্ত করা হয় এবং খুব সম্ভবত পথ ভুলে চলে আসা সাপটিকে সেখান থেকে বিদায় করা হয়।
 
লিং তার বক্তব্যে জানান, উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন এবং ফ্লাইটটি নিরাপত্তা বজায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব তাওয়াউয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
 
'আমাদের যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তা ও সুস্থতাকে আমরা সব সময় প্রাধান্য দেই। এক মুহূর্তের জন্যেও যাত্রী ও অথবা ক্রুদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ছিল না', যোগ করেন লিং।
 
উড়োজাহাজে সাপ খুঁজে পাওয়ার ঘটনাগুলো বিরল হলেও এটাই এরকম প্রথম ঘটনা নয়। ২০১২ সালে ইজিপ্টএয়ারের একটি ফ্লাইটে একজন যাত্রী লুকিয়ে একটি অজগর সাপ নিয়ে এসেছিলেন। সাপটি ব্যাগ থেকে বের হয়ে এসে তার হাতে কামড় দেওয়ার পর সবাই বিষয়টি জানতে পারে। পরে জানা যায়, এই সাপ চোরাকারবারির একটি সরীসৃপ বেচাকেনার দোকান রয়েছে। 

মাঝে মাঝে সাপ ভুলেও উড়োজাহাজে উঠে পড়ে। 

২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ছুটি কাটিয়ে নিজের দেশে ফেরার পথে এক স্কটিশ মহিলা আবিষ্কার করেন, তার এক পাটি জুতায় বাসা বেঁধেছে একটি পাইথন সাপ।
 
গ্লাসগোতে এসে পৌঁছানোর পর সাপটিকে উদ্ধার করে একটি বিরল প্রাণী রক্ষাকারী সংস্থা। সৌভাগ্যজনকভাবে, সাপটি ছিল নির্বিষ।  

এ ধরণের ঘটনা খুব সহজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়, কারণ এটি সবাইকে হলিউডের সিনেমা 'স্নেইকস অন প্লেনের' কথা সবাইকে মনে করিয়ে দেয়, যেখানে একজন এফবিআই এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করেন প্রখ্যাত অভিনেতা স্যামুয়েল এল জ্যাকসন। সে সিনেমায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার এক সাক্ষীকে হত্যা করার জন্য যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে বেশ কিছু বিষাক্ত সাপ ছেড়ে দেওয়া হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka’s Toxic Air: High levels of cancer-causing elements found

The concentration of cancer-causing arsenic, lead and cadmium in Dhaka air is almost double the permissible limit set by the World Health Organization, a new study has found.

9h ago