আমি কিন্তু খুব বড় অভিনেত্রী নই: জয়া আহসান

বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসান 'বিনি সুতোয়' সিনেমায় অভিনয়ের জন্য কলকাতার 'আনন্দলোক পুরস্কার ২০২২'-এ সেরা অভিনেত্রী সম্মাননা পেয়েছেন।
গতকাল বুধবার এই পুরস্কার হাতে উঠেছে তার। কয়েক মাস আগে একই সিনেমার জন্য 'ফিল্মফেয়ার বাংলা' পুরস্কার জিতে নেন তিনি।
পুরস্কার প্রাপ্তি, জীবনবোধসহ বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

আনন্দলোক পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী হয়ে কেমন লাগছে?
প্রতিটি পুরস্কার দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয় অনেকটা। পরিচালক অতনু ঘোষ 'বিনিসুতোয়' সিনেমার মধ্যে দিয়ে যে নাগরিক রূপকথা বুনেছেন তার রেশ রয়ে গেল এই প্রাপ্তিতে।
আপনাকে ভেবে সিনেমার চরিত্র লেখা হয়। কেমন লাগে বিষয়টা?
তেমন কিছু হয় কিনা জানি না। তবে আমাকে তারা সিনেমায় নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। অনেকেই বলেন, যতদিন আপনার শিডিউল না পাওয়া যায় অপেক্ষা করব। এগুলো ভালো লাগে।
এর পেছনে কারণও আছে। অনেক দিন ধরে অভিনয় করছি এটা যেমন একটা ব্যাপার, তেমনি নির্ভরতার একটা জায়গা তো থাকেই। আমি কিন্তু খুব বড় অভিনেত্রী নই। তবে অভিনয় করে যাওয়ার ধৈর্য্য আমার আছে।
অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজেকে কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
নিজেকে কী মূল্যায়ন করা যায়? এটা তো আপনারা করবেন। তবে যখন যেটা করি, সেটা মন দিয়ে করি। আমার জায়গা থেকে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার কোনো রোডম্যাপ নেই। আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলেও কিছু নেই। আমি শুধু, সততার সঙ্গে কাজটি করে যেতে চাই।

সিনেমার বিভিন্ন চরিত্র করতে গিয়ে জীবনের ছবি কতোখানি দেখা যায়?
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে বিভিন্ন মানুষের জীবন কাছ থেকে দেখে অনেক কিছু জেনেছি। জীবনকে যখন কাছে থেকে দেখি, তখন এই তারকা খ্যাতি, মেকআপ, আলো, গ্ল্যামার অর্থহীন মনে হয়। মনে হয় সুখী জীবনযাপন করাই শ্রেয়।
আগামী সিনেমাগুলোর কথা বলেন?
আগামীতে আসছে মুর্তজা অতাশ জমজম পরিচালিত 'ফেরেশতে', সুমন মুখোপাধ্যায়ের 'পুতুল নাচের ইতিকথা', সৌকর্য ঘোষালের 'কালান্তর', মাহমুদ দিদারের 'বিউটি সার্কাস'।
Comments