ঈদে আমার অভিনীত সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে না এটা কষ্টের: শাকিব খান

বাংলাদেশের দর্শক নন্দিত নায়ক শাকিব খান ৭ মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে সেখানে গিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পেয়েছেন। ঈদের আগে দেশে ফিরছেন ঢাকার সিনেমার এই শীর্ষ নায়ক।
শাকিব খান। ছবি:ফেসবুক থেকে নেওয়া

বাংলাদেশের দর্শক নন্দিত নায়ক শাকিব খান ৭ মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে সেখানে গিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পেয়েছেন। ঈদের আগে দেশে ফিরছেন ঢাকার সিনেমার এই শীর্ষ জনপ্রিয় নায়ক।

তবে প্রথমবারের মতো ঈদুল আজহায় তার কোনো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছেনা। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড, এফডিসির সংগঠন প্রসঙ্গ, ঈদুল আজহায় কেন সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে না, দেশেফেরাসহ অনেক বিষয় নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন শাকিব খান। 

ছবি: শাকিব খানের ফেসবুক থেকে নেওয়া

জনপ্রিয় নায়ক হওয়ার পর প্রথমবার ঈদুল আজহায় আপনার কোনো সিনেমা মুক্তি পাবেনা বলে জেনেছি। মুক্তি না পাওয়ার কারণ আসলে কী?

এই প্রথম  ঈদুল আজহায় আমার কোনো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে না। এটা আমার জন্য সত্যিই অনেক মন খারাপ করা সংবাদ। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে এই প্রথম ঈদুল আজহায় আমার কোনো সিনেমা আসছে না। ঈদে আমার একটা সিনেমা 'লিডার, আমিই বাংলাদেশ' মুক্তি পাবার  কথা ছিল। কিন্তু সেই  সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কারণে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে না। এটার জন্য আমি আমেরিকায় নিজের টাকা খরচ করে ডাবিং করে দিয়েছি। সিনেমার পরিচালক সিনেমাটা মুক্তি দিতে ইচ্ছুক। কিন্তু, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্রফেশনাল না বলেই তারা মুক্তি দিতে চাইলো না। অনেক সিনেমাহল মালিক, সিনেমার প্রদর্শক, পরিবেশকরা আমার সিনেমা মুক্তি দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। আমার আরেকটা সিনেমা ছিল সেটা মুক্তি দিতে চেষ্টা করতাম। সেটাও এখন সম্ভব হচ্ছে না।

ছবি: শাকিব খানের ফেসবুক থেকে নেওয়া

তাহলে সিনেমায় চুক্তির বিষয়ে কি নতুন কোনো নিয়ম আসছে?

অবশ্যই আসবে নতুন নিয়ম। সিনেমা কবে মুক্তি দেবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সেটা চুক্তিপত্রে লেখা থাকবে। বিশ্বের সবখানে এমন হয় আমাদের দেশ ছাড়া।

আপনি বাংলাদেশে নেই প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গেছে। একবারও কী সিনেমায় নিজের অবস্থান নিয়ে মনের মধ্যে কোনো সংশয় তৈরি হয়েছে?  

দেশে ৭ মাস নেই এতে করে আমার মধ্যে কোনো সংশয় তৈরি হয়নি। তার কারণ বাংলাদেশে আমার বেশ কয়েকটি সিনেমার কাজ করা ছিল। সেই সিনেমার মধ্যে একটা মুক্তি পেয়েছে। দর্শকদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। সেই কারণে কিছুই বুঝতে পারিনি। আমেরিকায় নতুন সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ততা ছিল। বরং আমার মনে হয়েছে চলতি সময়ে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে বড় অনেকগুলো সিনেমার প্রয়োজন আছে। করোনা পরবর্তী সময়ে সব দেশেই সিনেমায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। বলিউডের অনেক সিনেমা দর্শকরা পছন্দ করছে না। সবকিছুতে পরিবর্তন এসেছে। এইসব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। ছোট ছোট সিনেমা দিয়ে হবে না সময়ের সঙ্গে যেতে হবে।

ছবি: শাকিব খানের ফেসবুক থেকে নেওয়া

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডের বিষয়টা সব সময় অস্বীকার করে এসেছেন। শেষ পর্যন্ত আপনার গ্রিন কার্ডের বিষয়টা তো সত্য হলো? 

কখনোই গ্রিন কার্ডের বিষয়টা অস্বীকার করিনি। এটা একটা পদ্ধতির বিষয় আছে অস্বীকার কেন করবো। এখানে আমি তো শুধু গ্রিন কার্ডের জন্য এসেছি এমন তো নয়। সিনেমা বিষয়ক অনেক কাজ আছে সেইসব কাজগুলো করেছি। বাংলাদেশের সিনেমাকে কীভাবে আরও বড় পরিসরে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায় সেটা নিয়ে পরিকল্পনা হয়েছে। নতুন সিনেমার শুটিং করেছি। গ্রিন কার্ডের বিষয় তো মেইলের মাধ্যমেও করা যায়। আমি আমেরিকায় গ্রিন কার্ড পেয়েছি সম্মানিত কোটায়। গ্রিন কার্ডের জন্য লুকোচুরি কেন করবো।

অনেকেই বলছেন যুক্তরাষ্ট্রে একেবারে স্থায়ী হচ্ছেন? 

দেখেন এমন কোন ইচ্ছা আমার এখন আপাতত নেই। আমাকে নিয়ে এমন অনেক কথা শুনি যার কোনো সত্যতা নেই। গ্রিন কার্ডের নিয়ম অনুযায়ী যতোটা প্রয়োজন ঠিক ততোটা ছাড়া এখানে এখন থাকার কোনো প্রশ্নই আসেনা। সিনেমা নিয়ে অনেক বড় বড় পরিকল্পনা আছে আগামী দিনগুলোতে দেখতে পাবেন।

চলচ্চিত্র সংগঠনগুলো নিয়ে আপনার বর্তমান অবস্থান বলবেন কি? 

চলচ্চিত্র সংগঠন নিয়ে কথা বলার অনেক জায়গা আছে। এইসব সংগঠনের কারণে অনেক সিনেমার প্রযোজক সিনেমা থেকে সরে গেছে। এফফিসির ভয় আছে এইসব সংগঠনগুলো নিয়ে। তাদের বক্তব্য সেখানে শুধু সংগঠন আছে, সিনেমা নেই। আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ভুয়া সংগঠন বলিনি। বিষয়টা বুঝতে ভুল হয়েছে অনেকের। আমি নিজেই এই সংগঠনের পদে ছিলাম। গত কয়েকবছর আগে সংগঠন নিয়ে নোংরা রাজনীতি করেছে সেটা বোঝাতে চেয়েছি। প্রযোজকরা এইসব ভয়ে এখন সিনেমায় বিনিয়োগ করে না। চলচ্চিত্র সংগঠন নিয়ে এইসব বোঝাতে চেয়েছি অন্যকিছু না।

Comments

The Daily Star  | English

Highest income tax rate stays unchanged at 25%

The government has moved away from its decision to raise the highest income tax rate to 30 percent and end tax holidays for investors in economic zones and hi-tech parks.

1h ago