শিমু হত্যা নিয়ে যা বললেন জায়েদ খান
অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যার কথা তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ বলেছে, পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়।
গতকাল দুপুরে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের নিচে দুটি বস্তায় শিমুর খণ্ডিত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাটি চলচ্চিত্র অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। বিশেষ করে, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে শিমুর বাদ পড়া ও তার ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া নিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে বিরোধের কথা উঠে আসে। হত্যাকাণ্ডে জায়েদ খানের জড়িত থাকার কথাও আলোচনায় আসে। বিষয়টি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার তার সঙ্গে কথা বলেছে। এর কিছুক্ষণ পরই অবশ্য ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান যে রোববার সকাল ৭টায় গ্রীনরোড এলাকায় শিমুকে নিজের বাসায় হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তার স্বামী।
জায়েদ খানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই হত্যাকাণ্ডে তার নাম কেন আলোচনায় আসছে। জবাবে বলেন, 'গতকাল রাত থেকেই আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি মহল শিমুর পরিবারের কাছে আমার নাম বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছে। আজ যদি তার স্বামীকে আটক করা না হতো তাহলে আমি ফেঁসে যেতাম, এফডিসিতে আসতে পারতাম না।'
তিনি আরও বলেন, 'বলা হচ্ছে, ১২-১৩ দিন আগে তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে। অথচ, গত ৪ মাসের মধ্যে তার সঙ্গে আমার দেখা বা কথা হয়নি।'
২০১৮ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে ১৮৪ জন সদস্যকে বাদ দেওয়া হয়। তাদের একজন ছিলেন শিমু। তাকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জায়েদ খান বলেন, 'আমি তাকে বাদ দেইনি। আমাদের সহযোগী শিল্পীদের তালিকায় এখনও তার নাম আছে। কিন্তু তার ভোটাধিকার ছিল না। সহযোগী শিল্পীদের ভোটাধিকার থাকে না।'
যারা তার নাম জড়িয়ে গুজব ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, 'যারা গুজব ছড়িয়ে পুরো ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছেন আমি তাদের তালিকা তৈরি করেছি। সবার নামে মামলা করব।'
কাজী হায়াৎ পরিচালিত 'বর্তমান' সিনেমা দিয়ে ১৯৯৮ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় শিমুর। এরপর তিনি ২০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বেশিরভাগ সিনেমায় তাকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে।
তার সহশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম শাকিব খান, রিয়াজ, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, মোশারফ করিম।
চাষী নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এ জে রানাসহ বেশ কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন শিমু। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি ৫০টিরও বেশি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। তিনি এনটিভির মেগা ধারাবাহিক 'ফ্যামিলি ক্রাইসিস' নাটকেও কাজ করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
Comments