শাহরুখপুত্র আরিয়ান: কয়েদি নম্বর ‘এন৯৫৬’

মাদক কাণ্ডে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি। ছবি: সংগৃহীত

শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান গতকাল মুম্বাই কেন্দ্রীয় কারাগারে এক সপ্তাহ পূর্ণ করেছেন। এই কারাগারটি আর্থার রোড জেল নামেও পরিচিত। মুম্বাই ক্রুজ ড্রাগস মামলায় আরিয়ানের জামিন আবেদনের শুনানি স্থগিত করেছেন বিচারক। ফলে, ২৩ বছর বয়সী এই বলিউড তারকা সন্তানকে কমপক্ষে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হবে। সেখানে আরিয়ান খানের 'কয়েদি (বন্দী) নম্বর' এন৯৫৬।

জেল সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, আরিয়ান খানকে কারাগারে বিরক্ত মনে হচ্ছে। মুম্বাই ড্রাগস মামলার সব অভিযুক্তকে নিরাপত্তার কারণে অন্য কয়েদিদের থেকে আলাদা ব্যারাকে রাখা হয়েছে।

কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী, তাদের বুধবার পর্যন্ত কারাগারের 'কোয়ারেন্টিন সেলে' রাখা হয়েছিল। কিন্তু, কোয়ারেন্টিন পিরিয়ড শেষে তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাই স্বাভাবিক ব্যারাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরাদ্দ করা আরিয়ান খানের 'কয়েদি (বন্দী) নম্বর' এন৯৫৬।

খাবার এবং পোশাক

জেলের ভেতর থেকে সূত্র জানায়, আরিয়ান খান নিয়মিত জেলের খাবার খাচ্ছেন। যদিও তিনি জেলের খাবারে আপত্তি তুলেছেন। কিন্তু, জেলের ভেতরে বাইরে থেকে খাবার পাঠানোর অনুমতি নেই।

আরিয়ান খানের পরিবারের কাছ থেকে আর্থার রোড জেল কর্তৃপক্ষ ১১ অক্টোবর ৪,৫০০ টাকার একটি মানি অর্ডার পেয়েছিল। এই টাকা পাঠানো হয়েছে জেলে তার ক্যান্টিনের খরচের জন্য। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, একজন বন্দীকে প্রতি মাসে ৪,৫০০ টাকার একটি মানি অর্ডার পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়।

আরিয়ান খান এখন পর্যন্ত বাড়ি থেকে পাঠানো পোশাক পরে আছেন।

জেলের রুটিন

আর্থার রোড জেলে আরিয়ান খানকে প্রতিদিন সকাল ৬টার বেশি ঘুমাতে দেওয়া হয় না। সকাল ৭টায় নাস্তা এবং সকাল ১১টায় মধ্যাহ্নভোজন সরবরাহ করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় রাতের খাবার দেওয়া হয়। এরপর ব্যারাক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিকেলে, বন্দীদের জেলের মাঝখানে অবস্থিত খোলা এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়।

সূত্র অনুযায়ী, কারা কর্মকর্তারা আরিয়ান খানের উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখছেন।

আদালত আগামী ২০ অক্টোবর আরিয়ান খানের জামিন আবেদনের ওপর রায় ঘোষণা করতে পারে। অন্তত ততদিন পর্যন্ত শাহরুখ খানের ছেলে নজরদারিতে কারাগারে থাকবেন।

এর আগে, গত ৭ অক্টোবর আরিয়ান খানকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English

The end of exemption?

TRIPS waiver end poses dual challenge: legal and technological

20h ago