আত্মজীবনী লিখছেন ড. ইনামুল হক

ড. ইনামুল হক। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা ড. ইনামুল হক অভিনয় থেকে দূরে আছেন প্রায় দেড় বছর। করোনা মহামারি চলাকালে অভিনয়ের অনেক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।

ঘরবন্দি সময়ে শুধু লেখালেখি আর বই পড়ে সময় কাটছে তার। জগতখ্যাত কয়েকজন নাট্যকারের নাটক অনুবাদ করছেন তিনি। এগুলো পরে বই আকারে প্রকাশিত হবে। দেশের বড় দুটি প্রতিষ্ঠান বইগুলো প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ড. ইনামুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও স্পেনসহ কয়েকটি দেশের কয়েকজন বিখ্যাত নাট্যকারের নাটক অনুবাদ করছি। তাদের অনেকে নোবেল পেয়েছেন।... প্রতিদিন নিয়ম করে লিখছি।'

নাটক অনুবাদের পাশাপাশি আত্মজীবনীও লিখছেন তিনি। ছেলেবেলার অংশ লেখার কাজটুকু শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, 'আত্মজীবনী লিখতে গিয়ে ফেলে আসা জীবনের অনেক ঘটনা মনে পড়ছে। সেসব লিখতে চাই।'

'অন্যদিকে, প্রতিদিন নিয়ম করে বই পড়ছি' উল্লেখ করে স্বনামধন্য এই অভিনেতা বলেন, 'প্রবন্ধ ও বিখ্যাত মানুষদের জীবনী— এই দুই ধরনের বই বেশি টানে। নাটকের প্রবন্ধের বই আরও বেশি করে পড়ছি।'

সম্প্রতি, তিনি উৎপল দও'র জীবনী পড়ে শেষ করেছেন। বললেন, 'ভীষণ ভালো লেগেছে।'

নাট্যকার হিসেবে ড. ইনামুল হক'র পথচলা শুরু ১৯৬৮ সালে। প্রথম লেখা নাটকের নাম 'অনেকদিনের একদিন'। আবদুল্লাহ আল মামুন নাটকটি প্রযোজনা করেছিলেন টেলিভিশনের জন্য। এ পর্যন্ত টেলিভিশনের জন্য ৬০টি নাটক লিখেছেন তিনি।

তার লেখা আলোচিত টিভি নাটকের মধ্যে রয়েছে 'সেইসব দিনগুলি' (মুক্তিযুদ্ধের নাটক), 'নির্জন সৈকতে' ও 'কে বা আপন কে বা পর'।

মঞ্চের জন্য প্রথম নাটক লেখা নাটকের নাম 'বিবাহ উৎসব'। এটি লিখেছিলেন উদীচীর জন্যে। তার নিজ দল নাগরিক নাট্যাঙ্গনের জন্য প্রথম লেখা নাটকের নাম 'গৃহবাসী'। ১৯৮৩ সালে লেখা হয় নাটকটি। ঢাকার মঞ্চে বেশ আলোচিত নাটক এটি।

নাটক লেখার বিষয়ে ড. ইনামুল হক বলেন, 'প্রয়াত নাট্যজন আবদুল্লাহ আল মামুন ছিলেন আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তার অনুপ্রেরণায় নাটক লেখা শুরু করেছিলাম টেলিভিশনের জন্য।'

ড. ইনামুল হক অভিনয় জীবন শুরু করেন ১৯৬৮ সালে। তার প্রথম অভিনীত টেলিভিশন নাটক ছিল 'মুখরা রমণী বশীকরণ'। এটি প্রযোজনা করেছিলেন মুস্তাফা মনোয়ার।

নাটক-আত্মজীবনী লেখা, বই পড়া ছাড়াও বাসায় নাতি-নাতনিদের সঙ্গে গল্প করেও সময় পার করছেন তিনি। তবে আফসোস করে বলেন, 'পড়ার জন্য কতো বই রয়েছে! লেখার কতো কী বাকি! অনেক কিছুই বাকি রয়ে গেল!'

Comments