গানের মধ্য দিয়ে সবার কাছে পৌঁছে গেছি: কনকচাঁপা

খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গান। শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে ৩ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ৪ দশকের বর্ণিল সংগীত জীবন তার।
শ্রোতাপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পীর গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে আছে 'অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন', 'তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই', 'ভালো আছি ভালো থেকো', 'যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয়', 'অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে', তুমি আমার এমনই একজন'।
আজ এ গুণী শিল্পীর জন্মদিন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন তিনি। গতরাতে কনকচাঁপার সঙ্গে মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারের কথা হয়।
দেশের বাইরে শ্রোতাদের ভালোবাসা কেমন উপভোগ করছেন?
কনকচাঁপা: আমার সংগীত জীবনের ৩৬ বছরে সারা পৃথিবীর বাংলাভাষী মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। এই ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি। আমার মনের ভেতর একটা বড় অনুভব হয়েছে। আমি গানের মধ্য দিয়ে সবার কাছে পৌঁছে গেছি।
বিদেশে গান গাইতে গিয়ে কোনো স্মরণীয় স্মৃতি আছে?
কনকচাঁপা: ২০০৯ সালের দিকে আমি স্পেন, ফ্রান্সে একসঙ্গে অনেক শিল্পীর সঙ্গে শো করেছিলাম। বারী সিদ্দিকী, হাসান, সালমাসহ কয়েকজন শিল্পী ছিলেন। আমি যখন গান গাইছিলাম তখন আমার গানগুলো নামতার মতো মুখস্থ গাইছিলেন দর্শকরা। আমার গানগুলো এত মনোযোগ দিয়ে তারা শোনেন। তাদের এমন ভালোবাসায় বিস্ময়ে অভিভূত হয়েছিলাম।
দেশের বাইরে জন্মদিন কীভাবে কাটবে?
কনকচাঁপা: আমার খালাতো ভাই মোর্শেদ টিটোর বাসায় আছি। জন্মদিনে তারা পিকনিকের মতো একটা আয়োজন করেছে খোলা মাঠে। এসব দেখে সত্যি সত্যিই লজ্জা পাই। জন্মদিনে মানুষের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পাই, সেটাই অনেক মূল্যবান।
বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। কাজগুলো কি চলমান?
কনকচাঁপা: আমি প্রায় ২৫ বছর ধরে সামাজিক বিভিন্ন কাজে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করছি। একটা বৃদ্ধাশ্রমের সঙ্গে জড়িত আছি। এই বৃদ্ধাশ্রমে শুধু অসহায় নারীরা থাকেন। এই কাজগুলো বড় পরিসরে করার জন্য রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলাম। কিন্তু কোনোভাবেই থাকতে পারলাম না। আমার কাজ করার ইচ্ছে পুরোপুরি আছে। কাজের মধ্য দিয়েই আমি মানুষের সেবা করে যেতে চাই।
দেশের শ্রোতাদের উদ্দেশে কিছু বলতে চান...
কনকচাঁপা: মানুষের এত এত প্রাণ ছোঁয়া ভালোবাসা পেয়েছি। যা অনেকবার জন্ম নিয়েও পাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের দেশটা সত্যিই একটা ভালো দেশে পরিণত হোক, সব কিছুতেই অনেক ওপরে থাকুক। জন্মদিনে এটাই চাওয়া।
Comments