প্রিন্স মাহমুদ বললেন জেমসের কণ্ঠে ‘বাবা’ গানের অজানা গল্প

প্রিন্স মাহমুদ ও জেমস

বাবা দিবসের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গানের মধ্যে অন্যতম প্রিন্স মাহমুদের 'বাবা'। এই গানের কথা, সুর, গায়কী প্রতিটি সন্তানের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বুকের কোথায় যেন হাহাকার তৈরি করে। আজ বাবা দিবসে নিজের বাবার কথা ও জেমসের কণ্ঠের আলোচিত 'বাবা' গানের জন্মের অজানা কথা ভাগাভাগি করলেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

প্রিন্স মাহমুদ বলেন, 'বাবা মায়া মমতার এমন একটা বাঁধন, যা স্থানভেদে বদলায় না। সময়ে বদলে যায় না। আমার কাছে প্রতিদিনই বাবা দিবস আলাদা কিছু নয়। প্রতিদিনই কথা বলা, দেখা করা খোঁজ নেওয়া সন্তানের দায়িত্ব। বাবা আমাদের ছায়া, ভরসা আর মায়ার নাম। একটা নির্ভরতার হলো বাবা। যখন বেঁচে ছিলেন বাবা তখন বুঝতে পারিনি। কতোটা নির্ভরতা ছিলেন আমার কাছে। ভালোবাসা শাসনে মিশে থাকে এই নাম। আমার গানের কথায় বাবা লেখা থাকলেও আমি 'আব্বা' বলতাম। আমাদের যতো অভিযোগ অনুযোগ সবকিছু তাকে বলতাম। অনেক সন্তান তাদের বাবার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে, কিন্তু না বলা কথা বলতে পারে না। কিন্ত বেঁচে থাকতে বলে দেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, 'বাবা গানটা এখনো যখন শুনি প্রথমদিনের মতোই অনুভূতি হয়। তবে খুব একটা শোনা হয়না গানটা। শুনলে মনের ভেতর ভার হয়ে আসে। আমার আব্বা মারা যাওয়ার পরপরই এই গানটার জন্ম হয় ১৯৯৭ সালের দিকে। গানের কথাগুলোতে আমাদের খুলনার বাসায় আব্বার সঙ্গে আমার বিভিন্ন মুহূর্ত উঠে এসেছে। আব্বা একদম ভোরের দিকে উঠে কোরআন শরীফ পড়তেন। আমাকে যে ধরনের কথা বলতেন সেইসব কথা গানের মধ্যে রয়েছে। এই 'বাবা' গানটা ১৯৯৯ সালে আমার 'হারজিৎ' মিশ্র অ্যালবামে প্রকাশিত হয়। যদিও এতোকিছু ভেবে গানটা করিনি।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-Myanmar border landmine explosion

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

12h ago