বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭: যে বিষয়গুলো স্পষ্ট করা দরকার

সব দাবী-দাওয়াকে এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে সংসদে পাশ হয়ে গেল ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’। মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ই থাকছে, ছেলেদের থাকছে ২১। তবে ‘বিশেষ ক্ষেত্রে’ এবং ‘সর্বোত্তম স্বার্থে’ আদালতের নির্দেশে ও বাবা মায়ের সম্মতিতে...
স্টার ফাইল ফটো

সব দাবী-দাওয়াকে এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে সংসদে পাশ হয়ে গেল ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’। মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ই থাকছে, ছেলেদের থাকছে ২১। তবে ‘বিশেষ ক্ষেত্রে’ এবং ‘সর্বোত্তম স্বার্থে’ আদালতের নির্দেশে ও বাবা মায়ের সম্মতিতে যেকোন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের এবং ছেলেরও বিয়ে হতে পারবে। আইনটি পাশ হয়ে যাওয়ার পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে এই যে ‘বিশেষ ক্ষেত্রে’ এবং ‘সর্বোত্তম স্বার্থে’ বিয়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়সের আগেই মেয়ে অথবা ছেলেকে যে বিয়ে দেয়া যাবে, এই বয়সটাও কিন্তু নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে আমরা কি ধরে নেবো এই বিশেষ বিধানের ক্ষেত্রে যেকোন বয়সেই শিশুর বিয়ে দেয়া যাবে? অথবা এটা কি বলা যাবে, বাংলাদেশে ‘বিয়ের ন্যূনতম বয়স শূন্য’? এই বিশেষ বিধানের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা এমনটাই মনে করছেন।

আসলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বড় ধরনের আইন যখন এরকম একটি দুর্বল বিশেষ বিধান রেখে পাশ হয়ে যায়, তখনতো বলতেই হবে আমরা পেছনে হাঁটলাম। আইনের এই বিশেষ বিধানটি যে স্বার্থান্বেষী মানুষ মন্দভাবে ব্যবহার করবে, তা সহজে অনুমেয়। এই বিশেষ ক্ষেত্রে ১৮ এর নীচে ঠিক কত বছর বয়সে বিয়ে হতে পারে, তা আইনে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। সমস্যাটা কিন্তু এখানেই। আমাদের আপত্তিটাও এই ‘সর্বোত্তম স্বার্থে’ শীর্ষক ব্যতিক্রমটা নিয়ে। আইনের এই ফাঁকটিরই যথেচ্ছ ব্যবহার করবে অভিভাবকরা। কারণ আমাদের সমাজে এখনও ১১/১২ বছর বয়সের বিয়েটাকেই বাল্য বিয়ে বলে মনে করা হয়। অধিকাংশ মানুষই মনে করে মেয়েদের বিয়ের উপযুক্ত বয়স ১৪ থেকে ১৫।

এ প্রসঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে সিভিল সোসাইটির সম্মিলিত গ্রুপ ‘গার্লস নট ব্রাইডস’, বলেছে, ‘আমরা আতংকিত যে নয়া এই আইন নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনাকে বৈধতা দেয়ার, ধর্ষককে বিয়ে করার ব্যাপারে বাবা-মা মেয়ের উপর চাপ সৃষ্টির ঘটনা এবং সর্বোপরি বাল্যবিয়েতে এগিয়ে থাকা দেশটিতে বাল্যবিয়ের প্রবণতা আরও বাড়াবে।’ তারা এটাও মনে করে যে এই আইন শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি করবে।

২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, ইউনিসেফ, আইসিডিডিআরবি ও প্ল্যান বাংলাদেশের পৃথক গবেষণায় দেখা গেছে আইনত নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে হচ্ছে। এর হার কমবেশি ৬৪ শতাংশ। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ৬৫ শতাংশ মেয়ের বিয়ের গড় বয়স ১৫ দশমিক ৫৩। তবে সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো দেশে এখনও ১০ বছরের নীচে মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে। ১২ বছরের আগেই ২ দশমিক ২৬ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে।

আইনটিতে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করার পর বোধকরি সবচেয়ে হতাশ হয়েছিলেন তারাই, যারা আইনে এই বিশেষ বিধান যুক্ত করার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিলেন। মানবাধিকার ও নারী সংগঠনগুলো শিশু অধিকার সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন এই বিশেষ বিধান আইনটিকে দুর্বল করে তুলবে। যেসব অভিভাবক মেয়েকে কম বয়সে বিয়ে দিতে চায় ও কন্যা শিশু নির্যাতনকারীরা এই বিশেষ বিধানের অপব্যবহার করবে। কিন্তু এই বিশেষ বিধানের পক্ষে যারা, তারা বলেন আদালত এইসব দুষ্ট লোকদের প্রতিহত করবে।

কেন আইনটির ‘বিশেষ ক্ষেত্রে’ এবং ‘সর্বোত্তম স্বার্থের’ এই বিধানটি নিয়ে প্রবল আপত্তি উঠেছে, একটু আলোচনা করলেই তা পরিষ্কার বোঝা যাবে। যেমন বলা হয়েছে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে আদালত অপ্রাপ্তবয়স্কের বিয়ের বিষয়টি বিবেচনা করবে --- ক. প্রেমের সম্পর্কের কারণে ছেলেমেয়ে নিজেরা বিয়ে করেছে এবং মেয়েটি গর্ভবতী বা সন্তানের মা হয়েছে অথবা খ. অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের কাছের আত্মীয় যেমন বাবা-মা, ভাই-বোন, নানা-নানি ইত্যাদি কেউ বেঁচে না থাকলে এবং মেয়েটির ভরণ-পোষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দুঃসাধ্য হলে। বিধানের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে আদালত প্রয়োজনবোধে, বিষয়টির সত্যতা নিরূপণের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে তদন্ত সম্পন্ন করতে পারবে।

বিভিন্ন অধিকার ভিত্তিক সংগঠন থেকে এখন বলা হচ্ছে, যেহেতু আইনটি পাশ হয়েই গেছে, তাই খুব বেশি কিছু করার নাই। কিন্তু বিধিমালাতে এমন কিছু শক্ত বিধিবিধান ঢোকানো উচিৎ যাতে আইনটির ‘বিশেষ ক্ষেত্রে’ এবং ‘সর্বোত্তম স্বার্থের’ এই বিধানটি নিয়ে ছেলেখেলার কোন আশঙ্কা না থাকে। আদালতের অনুমতি দেয়ার জায়গাটি সবচেয়ে কঠোর হতে হবে। এক্ষেত্রে বিধিমালাতে যে বিষয়গুলো স্পষ্ট করা দরকার তা হচ্ছে ---

১. ‘প্রেমের সম্পর্কের কারণে ছেলেমেয়ে নিজেরা বিয়ে করেছে’ – ছেলেমেয়েতো আইনত কম বয়সে নিজেরাও বিয়েটা করতে পারে না। তাহলে এর ব্যাখ্যা কী, তা স্পষ্ট করতে হবে।

২. ‘মেয়েটি গর্ভবতী বা সন্তানের মা হয়েছে’ --- এর মানে কী? কেউ যদি মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়, তখন কি বিয়ে পড়িয়ে দিয়ে ব্যাপারটাকে জায়েজ করা হবে? আর অপরাধীও বিয়ে করে মাফ পেয়ে যাবে? এসব ক্ষেত্রে বিয়েটা কিন্তু সর্বোত্তম উপায় হতে পারেনা। বরং আশঙ্কা করা যায় যে এই বিধানের সুযোগ নিয়ে যৌন হয়রানির ও ধর্ষণের শিকার সন্তানসম্ভবা কন্যাশিশুকে বিয়েতে বাধ্য করা হতে পারে। যেমন, বাহরাইন, ইরাক, ফিলিপাইন, তাজিকিস্তান ও তিউনিসিয়ায় একজন ধর্ষক ধর্ষিতাকে বিয়ে করলে তার শাস্তি থেকে মাফ পেতে পারে।

৩. বিধানে থাকা ‘প্রেমের সম্পর্কের’—বিষয়টিও স্পষ্ট হতে হবে, ব্যাখ্যাসহ।

৪. ‘অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের’—বলতে কি জিরো এইজ বুঝিয়েছে? এজন্যে বিধিতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বয়সটা সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে। আইনের ফাঁক গলে বা অজুহাতে পাঁচ থেকে ১০ বা ১০ থেকে ১৬ বছরের মেয়েরতো বিয়ে হতে পারেনা।

৫. ‘ভাই-বোন, নানা-নানি ইত্যাদি’—বলতে কী বোঝাচ্ছে তা সুনির্দিষ্ট হতে হবে। ভাইবোন বলতে শুধু আপন ভাইবোন বোঝাচ্ছে? নাকি চাচাতো-মামাতো-ফুফাতো ভাইবোনকেও বোঝাচ্ছে? ‘ইত্যাদি’ শব্দটার মানে কী?

৬. ‘আদালত প্রয়োজনবোধে’—বিষয়টির সত্যতা নিরূপণের উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু এখানেতো এ ধরণের অভিযোগ এলে আদালতকে সত্যতা নিরূপণ করতেই হবে।

৭. ‘বা অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে তদন্ত সম্পন্ন করতে পারবে’—এই অন্য কোন ব্যক্তিটা কে বা কারা হবে, এটাও কিন্তু নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।

কিছুদিন আগে আমাদের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে প্রথম আলোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন কেন আইনে এই ব্যতিক্রমটা রাখা হচ্ছে? উনি যেসব অনভিপ্রেত ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন, আমরা বাস্তবে এর তেমন কোন নজীর পাই না। উনি বলেছেন, বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেই যে কিশোর-কিশোরীদের প্রেম বন্ধ হয়ে যাবে, এমনটি নয়। কোনও কিশোরী পরিস্থিতির শিকার হয়ে গর্ভবতী হলে তখন তার ভবিষ্যৎ কী হবে? অভিভাবকহীন ও প্রতিবন্ধী শিশুর থাকার জায়গা না থাকলে এবং ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত তাকে কোথাও রাখাটা নিরাপদ মনে না হলে তাকে বিয়ে দেয়া যেতে পারে।

আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য বিয়ে দিয়ে দেয়া কি কোন উপায় হতে পারে? না হওয়া উচিত? অভিভাবকহীন প্রতিবন্ধী মেয়ের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র। তাকে বিয়ে দিলে তার সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। বাল্যবিয়ের কারণ হিসেবে কিশোর-কিশোরীর প্রেম বা গর্ভধারণের ঘটনা খুবই দুর্বল একটা যুক্তি। এক্ষেত্রেও বিয়েটা কোন সমাধান হতে পারে না। বরং সন্তানকে এইসব সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। যাতে তারা এইসব ঘটনা না ঘটায়। সত্যি বলতে কি, একটি মেয়েশিশু যখন বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে বা ধর্ষিত হয়ে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে, তখন বিয়ে দিয়ে দেয়াটা মেয়েটির ‘সম্মান রক্ষার’ কোন পথ হতে পারে না।

দেখা গেছে সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হয়। এই হার ২৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এরপর ভালো পাত্র পাওয়া গেছে, এই ছুতোয় বিয়ে দেয়া দেয়া হয় শতকরা ২২ দশমিক ৪৯ জনের। আর অভাব অনটনের কারণে কম বয়সেই বিয়ে দেয়া হয় ১৮ দশমিক ৯৯ জনের। এছাড়া ধর্মীয় বিশ্বাস, পড়াশোনায় কম উৎসাহ, যৌতুকের ভয়ে, সামাজিক চাপের কারণেও কিছু বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটছে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের করা গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ বাল্য বিয়ে হয় বিয়ে পূর্ববর্তী শারীরিক সম্পর্কের কারণে, যা খুবই নগণ্য বলে ধরে নেয়া যায়। তাও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের এই বয়সটা ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে বেশি। প্রেমের কারণে মাত্র ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ বিয়ে হয় বাল্য বয়সে। সাধারণত ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের এবং শহরে প্রেমের বিয়ে বেশি হয়।

আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়েও কেন আমাদের মেয়েদের এত কম বয়সে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে? কেন বাল্যবিয়ের শিকার শতকরা ৬৩ দশমিক ৭৪ ভাগ ছাত্রী? এরা ঝরে পড়ছে স্কুল থেকে। এমনকি উৎপাদনশীল কাজের সাথে জড়িত শতকরা ১১ দশমিক ৬৩ ভাগ মেয়েও বাধ্য হয়ে চলে যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি। মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার কাজে সবচেয়ে সক্রিয় থাকে ঘটকরা। ৪১ ভাগেরও বেশি মেয়ের বিয়ে হয় ঘটকদের ফন্দি ফিকিরে পড়ে। পাত্রীর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। কারণ সমাজে শিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত এবং পড়াশোনা না জানা পুরুষদের অনেকেই তাদের শারীরিক ও অন্যান্য চাহিদা মেটানোর জন্য কমবয়সী মেয়ে বিয়ে করতে চায়। তারা মনে করে ১৬ বছরের কমবয়সী মেয়েরাই প্রকৃত ‘কুমারী’ এবং কমবয়সী মেয়ে বিয়ে করলে তাকে নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ হবে।

এক্ষেত্রে খুবই আশংকাজনক এবং একই সাথে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল বরের বাড়ি থেকে ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে মেয়ের বিয়ে দেয়ার জন্য খুবই চাপ দেয়া হয়। পাত্রপক্ষের কাছে এই বয়সের মেয়েদের চাহিদা অনেক বেশি। আর তাই এই বয়সেই বিয়ে দেয়াটা সহজ মনে করে পাত্রীর অভিভাবক। কাজেই আইনে এ সংক্রান্ত কোন ব্যতিক্রম রাখা হলে ছলেবলে কৌশলে অভিভাবক, ঘটক, পাত্রপক্ষ এর সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবে এবং অবশ্যই নেবে। খুব হাতে গোণা কয়েকটি ঘটনার জন্য আমরা কেন মেয়েশিশুদের জীবনটা হুমকির মুখে এনে দাঁড় করাচ্ছি?

এই ২০১৭ সালে এসে বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নকামী রাষ্ট্র কেন বাল্যবিয়েকে বিশেষ বিধান এর ফাঁক দিয়ে বৈধতা দিল, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয় যেখানে বিশ্বের অনেক আধুনিক ও উন্নত দেশই বাল্যবিয়ে নিয়ে তাদের আইনকে কঠোর করছে। এমনকি মালাউই, মোজাম্বিক, জাম্বিয়া, গাম্বিয়া ও তানজানিয়ার মত দেশও তাদের বাল্যবিয়ে আইনের মধ্যে থাকা ফাঁকফোকরগুলো বন্ধের জন্য বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, সেখানে আমরা একটি চমৎকার আইনের ভেতরে ফাঁকফোকর ঢুকিয়ে দিলাম। আমাদের সামনে এখন একটাই পথ সম্মিলিতভাবে আইনের মধ্যে থাকা এই ফাঁক বন্ধ করা। বিশেষ বিধানের আওতায় বাল্যবিয়ে দিতে চাইলে বাবা-মায়ের অনুমতি চেয়ে ‘আদালতের নির্দেশ’ কে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। নতুবা বাল্যবিয়ের শিকার আমাদের কন্যাশিশুরা আরও বড় ধরনের বিপদের মুখে পড়বে।

Comments