অটো চালিয়ে জীবনধারণ করেন বুমরার দাদা

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই খ্যাতির শিখরে পৌঁছেছেন ভারতের ডানহাতি ফাস্ট বোলার যশপ্রিত বুমরা। বিশ্ব ক্রিকেটে ডেথ ওভারের বোলারদের মধ্যে এখন সেরাদের একজন তিনি। ২৩ বছরের বুমরা যখন মাঠে উন্মাদনা ছড়ান তখন ভারতের উত্তরাখন্ডে বসে অন্য একজন তাকে নিয়ে গর্ব করেন।
সন্তোষ সিং বুমরা উত্তরাখন্ডের কিচ্ছাতে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। জীবনধারণের জন্য চালান অটো রিকশা। অন্যদিকে তারই নাতি যশপ্রিত বুমরা এখন কোটি টাকার মালিক। শুধুমাত্র ২০১৪ সালেই আইপিএল-এর নিলামে এক কোটি ২০ লাখ রুপিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস তাকে দলে ভিড়িয়েছে। এ থেকে সহজেই অনুমেয় দাদা ও নাতির জীবনে এখন আকাশ পাতাল ফারাক।
কিন্তু তাতেও আক্ষেপ নেই সন্তোষ সিংয়ের। সম্প্রতি ভারতের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গর্ব করে তিনি বলেন, “আমি যশপ্রিত বুমরার দাদা। টেলিভিশনে তাকে দেখতে পেয়েই আমি ভীষণ খুশি। কোনভাবে আমার খরচ চলে যায়। প্রয়োজন মেটাতে টেম্পু চালাই।”
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, গুজরাটে সফল ব্যবসা ছিল সন্তোষ সিং বুমরার। কিন্তু ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হওয়ায় ২০০৬ সালে উত্তরাখন্ডে চলে যান তিনি। যশপ্রিত বুমরার বাবা যশবীর সিং বুমরাও এই ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন।
৮৪ বছরের প্রৌঢ় সন্তোষ বলেন, “২০০১ সালে যশবীর মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার ব্যবসায়িক ভাগ্য খারাপ হতে শুরু করে। ফ্যাক্টরি বিক্রি করে ভাইদের সাথে উত্তরাখন্ডের কিচ্ছাতে চলে আসি আমরা।”
নাতির থেকে আলাদা থাকার কারণ হিসেবে বুমরার মাকে দায়ী করেন সন্তোষ। তার ভাষ্য, বুমরার মা চায় না আমরা একসাথে থাকি। সম্প্রতি সন্তোষ তার বড় মেয়েকে আহমেদাবাদ পাঠিয়েছিলেন। সেখানে অনেক চেষ্টা করেও তিনি বুমরার সাথে দেখা করতে পারেননি।
এখন তার একটাই আশা, মৃত্যুর আগে নাতিকে একবার দেখে যেতে পারলেই হয়।
Comments