আর্জেন্টিনাকে ছাড়াই বিশ্বকাপ?
তবে কি লিওনেল মেসিকে দেখা যাবে না রাশিয়া বিশ্বকাপে? বাছাই পর্ব কি পেরুতে পারবে না আর্জেন্টিনা? বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আর্জেন্টিনার কোটি ফুটবল সমর্থকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। তাদের ঘুম যে হারাম করে দিয়েছেন খোদ মেসিরাই। ঘরের মাঠে পেরুর সঙ্গে ড্র করে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে ছয় নম্বরে নেমে গেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে যাওয়া যেন দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়ার মতো।
সর্বশেষ ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব পার হতে পারেনি আর্জেন্টিনা। এরপরের সবগুলো বিশ্বকাপেই খেলেছে ডিয়াগো ম্যারাডোনার দেশ। এবার আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ খেলা নির্ভর করছে অনেকগুলো ‘যদি ও ‘কিন্তুর উপর।
শুক্রবার বুয়েনস আইরেসে বাংলাদেশ সময় ভোরে পেরুর সঙ্গে ০-০ গোলে ড্র করে হোর্হে সাম্পাওলির শিষ্যরা।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে সেরা চার দল সরাসরি খেলবে আগামী বছরের রাশিয়া বিশ্বকাপে। পঞ্চম দলকে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে প্লে-অফ ম্যাচে জিততে হবে ওশেনিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আর্জেন্টিনা আছে ছয় নম্বরে।তবে এখনো চারে উঠে যাওয়ার সুযোগ আছে মেসিদের সামনে। ১০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার উপরে থাকা পেরু ও কলম্বিয়া মুখোমুখি হবে শেষ রাউন্ডে। ওই ম্যাচ যদি ড্র হয় আর একইদিন অন্য ম্যাচে আর্জেন্টিনা যদি ইকুয়েডরকে হারাতে পারে তবে চার নম্বর দল হিসেবে সরাসরিই বিশ্বকাপ খেলবে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এই গ্রুপে থাকা পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল সবার আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে। বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় আছে উরুগুয়ে ও চিলি।
বাছাইপর্বে কঠিন গেরোর মধ্যে পড়ার ঘটনা আর্জেন্টিনার জন্য অবশ্য নতুন নয়। ২০১০ সালে বাদ পড়তে পড়তেই পালেরমোর গোলে পার হয়েছিল। এবার আর্জেন্টিনার উদ্ধারকর্তা কে হবেন? সমর্থকরা তাকিয়ে আছেন মেসির দিকে। মেসি কি পারবেন আর্জেন্টিনার তরি তীরে ভেড়াতে? ১০ অক্টোবরেই ফয়সালা হয়ে যাবে সব।
গেল বিশ্বকাপে দীর্ঘ ২৪ বছর পর ফাইনাল খেলেছিল লিওনেল মেসির দল। জার্মানির কাছে হেরে সেবার কেঁদে কেঁদে মাঠ ছেড়েছিলেন মেসি। এবার বিশ্বকাপ ফাইনাল তো দূরে থাক, মূলপর্ব উঠা নিয়েই শঙ্কায় আর্জেন্টিনা।
Comments