লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন

‘আর কারো বেঁচে থাকার আশা নেই’

পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জীবিত কাউকে খুঁজে পাবার আর কোনো আশা নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
Tower fire
গত বুধবার লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। ছবি: এএফপি

পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জীবিত কাউকে খুঁজে পাবার আর কোনো আশা নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

লন্ডন ফায়ার কমিশনার ড্যানি কটন বলছেন, নর্থ কেনসিংটনে অবস্থিত আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রেনফেল টাওয়ারের ভেতরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই হয়তো “নিখোঁজ অনেকে রয়ে গেছেন”। এই সংখ্যাটা এখনো অজানা।

তবে “আর কেউ বেঁচে নেই” বলে ধারণা উদ্ধারকর্মীদের, খবর এএফপি’র।

ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় ১৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে নিখোঁজ বাসিন্দাদের বিষয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ চালাচ্ছেন স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবেরা।

ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

৭০ জনেরও বেশি মানুষকে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এঁদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন, “কিভাবে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো তার পূর্ণ তদন্ত করা হবে।”

পশ্চিম লন্ডনে গ্র্রেনফেল টাওয়ার নামে বহুতল ভবনটিতে যখন আগুন লাগে তখন সেখানকার বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। লন্ডন সময় বুধবার প্রথম প্রহর, অর্থাৎ রাত একটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই জানালা দিয়ে নীচে লাফিয়ে পড়েছেন।

এমনকি শিশু সন্তানকেও নিরাপদে রাখার জন্য জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে।

তারপরও, ধোঁয়ার কারণে বহু মানুষ আটকা পড়েছিলেন ভবনটিতে, অনেকে বের হতে চাইলেও বের হতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার কমিশনার মিস কটন জানান, “পুরো ভবনটিতে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। কিন্তু আগুনে পুড়ে ভেতরে এমন ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে যার মধ্যে অভিযান চালানো হবে খুব জটিল ও কষ্টকর।”

আর যেহেতু ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে তাই আগে সেই বিষয়টি ঠিক করে পরে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অনুসন্ধান চালাতে হবে বলেও জানান মিস কটন।

ওই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে।

তবে, ঠিক কী কারণে ও কিভাবে সেখানে আগুন লাগলো কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি।

আগুন লাগার আগে নর্থ কেনসিংটনের ওই ভবনটিতে সংস্কার কাজ চলছিল। সেসময় ভবনের বাসিন্দাদের অনেকেই অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সাবধান করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Is Raushan's political career coming to an end?

With Raushan Ershad not participating in the January 7 parliamentary election, questions have arisen whether the 27-year political career of the Jatiya Party chief patron and opposition leader is coming to an end

49m ago