একরামুলের পরিবার চায়, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক
একরামুল হক। ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক র‍্যাবের সঙ্গে ‘কথিত বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে গত ২৭ মে র‍্যাব-৭ এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একরাম নিহত হন। তার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, একরাম রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা ভুল তথ্যের বলি হয়ে থাকতে পারেন। এর পেছনের সত্য উদঘাটনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

একরামুলের স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেন, ‘আমার  স্বামী প্রধানমন্ত্রীকে মা ডাকতেন। সৎ ভাবে কাজ করতেন। এই হত্যার বিচারের জন্য আমি এখন আমার মায়ের (প্রধানমন্ত্রী) হস্তক্ষেপ চাইছি।’

একরাম ১৩ বছর টেকনাফ যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন তিনি।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার পর র‍্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, একরামুল হক তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তবে র‍্যাবের এই বক্তব্য মানতে নারাজ তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও পরিচিত জনরা। তারা বলছেন, টেকনাফে মাদকের বিরুদ্ধে সব সময়ই সোচ্চার ছিলেন একরাম। তার নামে মামলার যে কথা বলা হয়েছিল, তারও সত্যতা মেলেনি।

একরামের বড় ভাই নজরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জনগণের জন্য রাজনীতি করত আমার ভাই। সে সিএন্ডএফ ব্যবসা করত। পরিবারে অভাব অনটন থাকলেও কখনওই মাদক বা অন্য কোনো ধরনের অবৈধ ব্যবসায় জড়িত হয়নি।

তার ভাষ্য, ‘মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল আমার ভাই। মৃত্যুর তিন দিন আগেই আমাদের বাড়ির পাশের একটি মাদকের আখড়ায় সে আগুন দিয়েছিল।’

পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা আরও জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি আব্দুর রহমান বদির সঙ্গে একরামুলের পরিবারের বিরোধ ছিল। একরামের অবস্থান ছিল, ইয়াবা চোরাচালানের বিরুদ্ধে।

নজরুল, যিনি নিজেও একজন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার ভাই এমপির সুনজরে ছিলেন না। তিনি একরামকে পছন্দ করতেন না। তবে তাদের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো বিরোধও ছিল না।’

‘আমরা ভাইয়েরা রাজনীতি পছন্দ করতাম না। কিন্তু লোকজন তাকে পছন্দ করত, তার কথা মানতো, একারণেই সে রাজনীতি করত। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আমাদেরকে এর মূল্য দিতে হলো।’

তার দাবি, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মত তার ভাইকেও হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই হত্যার বিচার চান।

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and supress political opposition.

2h ago