এবার আত্রাই নদীর বাঁধ খুলে দেওয়ার দাবি তুললেন মমতা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁর রাজ্যের একটি জেলার পানির কষ্টের জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করে আত্রাই নদীর পানি আটকে না রেখে তা খুলে দিতে বললেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁর রাজ্যের একটি জেলার পানির কষ্টের জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করে আত্রাই নদীর পানি আটকে না রেখে তা খুলে দিতে বললেন।

মঙ্গলবার দুপুরে কোচবিহারের কামতাপুরি পিপসল পার্টির দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিস্তার পানি না দেওয়ার অবস্থানও পরিষ্কার করেন তিনি।

মমতা বলেন, “আত্রাই নদীতে বাঁধ দিয়ে জল আটকে দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য বালুর ঘাটে জল নেই। সমস্যা হচ্ছে। আমি বাংলাদেশের বন্ধু সরকারকে অনুরোধ করবো, আত্রাই নদীর জলটাকে কেন বাঁধ দিয়ে আটকাচ্ছেন, ওটা ছেড়ে দিন। আমাদের বালুরঘাটের লোকেরা জল পাচ্ছে না।”

মমতা ব্যানার্জি তিস্তা নিয়ে সোমবার দেওয়া কিছু সংবাদ মাধ্যমের খবর নিজেই সংশোধন করেন। সোমবার কোচবিহারের স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে (মঙ্গলবার প্রকাশিত) কিছু সংবাদপত্রে একটু অন্যরকম করে খবর করা হয়েছে বলেও জনসভায় অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

তাঁর ভাষায়, “আমি সাংবাদিক ভাইদের বলছি গতকাল কয়েকজন সাংবাদিক ভাই আমাকে তিস্তা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন এবং এরপর আমি যা বলেছি সেটা নিয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে একটা অন্যকম খবর দেওয়া হয়েছে। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। যেখানে জল নেই সেখান থেকে জল কি করে দেবো আমরা, আমি বলেছিলাম যেখানে জল আছে সেখান থেকেই জল দেওয়া যেতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “মানাইসা হয়ে ধানসাই হয়ে জল নিয়ে যান আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি বাংলাকে ভালবাসি এবং বাংলাদেশকেও ভালবাসি। বাংলাদেশ আমার বন্ধু দেশ।”

মমতা এ সময় ছিটমহল চুক্তি বাস্তবায়নে তাঁর কৃতিত্বের কথাও তুলে ধরে বলেন, “আমরা ছিটমহল করে দিয়েছি। আমাদের তখন তো কিছু বলতে হয়নি। সত্তর বছর যা হয়নি, আমরা করে দিয়েছি, কথার দাম রেখেছি মানুষকে তাঁর অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষরা বাংলাদেশে গেছেন, ভারতের মানুষরা ভারতে এসেছেন। তাঁদের ঘর বাড়ি খাবার-দাবার সব করে দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “করিনি বললে ভুল হবে, ফারাক্কার জলও আমরা দিয়েছিলাম। কত গ্রাম চলে গেছে জলে, যে টাকা দেবে বলেছিল কেন্দ্র সেই টাকা আজও দেয়নি। ফারাক্কা এখন শুকিয়ে গেছে, কলকাতা বন্দর শুকিয়ে গেছে, ড্রেজিং পর্যন্ত করা হয়নি।”

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago