কলকাতায় খোয়া গেল এইচটি ইমামের ফোন, জরুরি কাগজপত্র
কলকাতায় খোয়া গেল শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মুঠোফোনসহ কিছু কাগজপত্র। মধ্য কলকাতার হো-চি-মিন সরণির আইসিসিআইর গ্যালারিতে সোমবার সকালে আয়োজিত ‘আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনার প্রধান বক্তা হিসাবে যোগ দিতে রবিবার দুপুরেই কলকাতায় পৌঁছান এইচ টি ইমাম।
এইচ টি ইমাম বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে যান ধর্মতলার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করছে, নিজের হোটেল কক্ষে গিয়ে আইফোন এবং জরুরি কাগজপত্র খোয়া যাওয়ার ঘটনা টের পান তিনি।
বিমানের মধ্যেই কি তা হলে ‘পিক-পকেট’ হয়েছে; নাকি কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বিমানবন্দর থেকে বাইরে গাড়িতে উঠার সময় কোনও কারণে পকেট থেকেই খোয়া গিয়েছে রাজনৈতিক উপদেষ্টার আইফোন- সেটা নিয়ে সোমবার দিনভর আলোচনা চলেছে কলকাতার কূটনৈতিক মহলে।
রাজনৈতিক উপদেষ্টার প্রটোকলে থাকা বাংলাদেশ উপদূতাবাসের দুজন প্রথম সচিব মোবাইল ফোন খোয়া যাওয়ার ঘটনা জানার পর সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে নিজেরাই খোজ খবর নিয়েছেন। কিন্তু তারাও ব্যর্থ হন।
উপ-দূতাবাসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বিষয়টি কৌতূহলের জন্ম দেয়। অতিথির মোবাইল সেট ও কাগজপত্র হারানোর বিষয়টি সোমবার অনুষ্ঠান স্থলে বাংলাদেশের কয়েকজন সাংবাদিককেও জানানো হয়।
দায়িত্বশীল সূত্রে খবর, এইচটি ইমামের সঙ্গে আসা সফরসঙ্গীরা আশঙ্কা করছেন যে মোবাইল ফোনটি সম্ভবত বিমান থেকেই কেউ ‘পিক পকেট’ করে দিয়েছে।
সফরসঙ্গীদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ‘বিমানে অভ্যন্তরে কিংবা হোটেলেই কেউ মোবাইল চুরি করেছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘স্যারের মোবাইল চুরি হয়েছে সেটা নিয়ে কোনো কষ্ট নেই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র ছিল, সেটা খোয়া যাওয়া চিন্তার কারণ।’
এমনিতেই শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই কলকাতার সেমিনারে যোগ দিতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টারা। জরুরি কাগজপত্র হারিয়ে তিনি কিছুটাও চিন্তিতও হয়েছে। সোমবার সকালে স্থানীয় চিকিৎসকরা দুইবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) বিএম জামাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মোবাইল খোয়া যাওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
Comments