ক্রিকেটারদের আর্থিক সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন: মুশফিক

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের আর্থিক সুবিধা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন স্টেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
Mushfiq
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ-এর হয়ে খেলার জন্য স্বাক্ষর করছেন মুশফিকুর রহিম। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের আর্থিক সুবিধা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন স্টেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

তিনি বিষয়টি ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়েছেন বলেও জানান এবং আশা করেন যে খুব দ্রুত এর সুরাহা হবে।

গতকাল আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ-এর হয়ে খেলার জন্য স্বাক্ষর করার পর সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা বছরে ৮ থেকে ১০ মাস জাতীয় দলে ব্যস্ত সময় কাটাই। যদি জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এবং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারতো তাহলে তাঁরা আর্থিকভাবে আরও বেশি লাভবান হতে পারতো।”

গত ডিসেম্বরে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের চুক্তি শেষ হওয়ার পর এখনো তা নবায়ন হয়নি। শ্রীলঙ্কা সফরের সময় তাঁরা বোর্ডের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁদের দাবি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছেন।

সূত্র জানায়, খেলোয়াড়রা তাঁদের বর্তমান বেতন নিয়ে খুশি নন। এছাড়াও, বেতন নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলার ফলে গত দুই-তিন মাস কোন বেতন দেওয়া হয়নি।

মুশফিক বলেন, “আমরা দেশের সম্মানের জন্য জাতীয় দলে খেলি। যদি এর সম্মানী আরেকটু বাড়ানো হতো তাহলে আমাদের উপকার হতো। আমাদের মধ্যে অনেকেই ১০-১১ বছর থেকে খেলছেন। কিন্তু খুব বেশি কিছু যে পেয়েছেন তা তাঁরা মনে করেন না। আমরা বোর্ডের কাছে আপিল করেছি এবং আশা করি, তাঁরা বিষয়টি দেখবেন।”

ক্রিকেটারদের দল বদলের তারিখ গত ১৮ মার্চ শেষ হলেও সেসময় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সফর থাকার কারণে সময়টা বাড়ানো হয়।

মুশফিকের সঙ্গে রূপগঞ্জ-এ খেলবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে তিনি শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই চুক্তি করে নেন।

২৬ এপ্রিল জাতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরের ব্যস্ততা নিয়ে মুশফিক বলেন, “এবছর জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা খুব বেশি সময় হাতে পাবেন না। কিন্তু তাঁদেরকে আন্তর্জাতিকের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলতে হবে। আমরা জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাবগুলোতেও খেলতে চাই।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago