গাইবান্ধায় সাঁওতালদের ঘরে আগুনে ৩ পুলিশ ও স্থানীয়রা জড়িত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের উচ্ছেদের সময় তাদের ঘর-বাড়িতে আগুন দেওয়ার সাথে তিন জন পুলিশ ও স্থানীয় দুর্বৃত্তরা জড়িত ছিলো বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জড়িতদের বিষয়টি জানা গেছে।
গাইবান্ধার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ এই তদন্ত পরিচালনা করেছেন। রবিবার ৬৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন ও আনুষঙ্গিক আরও ১০০১ পৃষ্ঠা কাগজপত্র সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন তিনি। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিসে থাকায় আমি এটা এখনও দেখিনি। আগামীকাল [আজ] হাই কোর্টে এটি তোলা হবে।”
সূত্রটি গতকাল ডেইলি স্টারকে আরও জানায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার তদন্তে ১০৬ জনের সাক্ষ্য নথিভুক্ত করেছেন। যোগাযোগ করা হলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানান শহিদুল্লাহ। তবে তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি।
গত বছর ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি ওবায়দুল হসান ও বিচারপতি কৃষ্ণ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ সাঁওতালদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার সঙ্গে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা তদন্ত করতে গাইবান্ধার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। তিনটি মানবাধিকার সংগঠনের রিটের প্রেক্ষিতে জড়িতদের খুঁজে বের করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বৃদ্ধি করা হয়।
সাঁওতালদের ঘরে পুলিশের আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর জড়িত খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে। উচ্ছেদ চলাকালে তিন সাঁওতাল নিহত ও পুলিশসহ আরও ২৫ জন আহত হয়েছিলেন তখন।
Comments