চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড়ধসে প্রাণ হারালো ১৩০ জন

চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলায় পাহাড়ধসে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩০ জন। নিহতদের মধ্যে চারজন সেনা সদস্যও রয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন এবং নিখোঁজও রয়েছেন অনেকেই।
landslide
পাহাড়ধসের শিকার লোকজনদের উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগীতায় স্থানীয় জনগণ। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলায় পাহাড়ধসে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩০ জন। নিহতদের মধ্যে চারজন সেনা সদস্যও রয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন এবং নিখোঁজও রয়েছেন অনেকেই।

মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করে প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

গত রাত ১০টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে রাঙ্গামাটিতে রয়েছেন ৯৮ জন, চট্টগ্রামে ২৬ এবং বান্দরবানে ছয়জন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ বলেন, সাগরে নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট প্রবল বর্ষণের ফলে এই পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও, বিগত বছরগুলোতে পাহাড় ও গাছ কাটার ফলে এমন দুর্ঘটনার আশংকা থেকেই যাচ্ছে।

গত সোমবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। একই সময়ে শুধু চট্টগ্রাম জেলায় ২২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর ফলে, অত্র অঞ্চলের নিচু এলাকাগুলো তলিয়ে যায় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে, গতকাল (মঙ্গলবার) রাঙ্গামাটির মানিকছড়িতে রাস্তা পরিষ্কার করার সময় পাহাড়ধসের শিকার হয়ে সেনাবাহিনীর চারজন সদস্য মারা যান এবং একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁরা হলেন মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ তানভির সালাম শান্ত, করপোরাল মোহাম্মদ আজিজুল হক এবং সৈনিক মোহাম্মদ শাহীন আলম। এছাড়াও, সৈনিক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান নিখোঁজ রয়েছেন বলে আইএসপিআর এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বলা হয়।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাহাড়ধসের শিকার লোকজনদের বিভিন্ন এলাকা থেকে এনে এখানে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago