চিরনিদ্রায় শায়িত নায়করাজ রাজ্জাক
ঢাকার বনানী কবরস্থানে নায়করাজ রাজ্জাককে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
নায়করাজ রাজ্জাকের ছোট ছেলে খালিদ হোসেইন সম্রাট সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী ২৫ আগস্ট বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে নায়করাজের কুলখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজ্জাক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর। পরদিন মঙ্গলবার গুলশানের আজাদ মসজিদে ও চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) তার জানাজা সম্পন্ন হয়। তার লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতার টালিগঞ্জে জন্ম নেওয়া রাজ্জাকের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ঢাকায় ১৯৬০ সালের মাঝামাঝি। প্রথম দিকে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করলেও ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া “বেহুলা”ই তাঁর প্রথম সুপারহিট ছবি।
“নাচে মন ধিনা ধিনা” গানটির সঙ্গে তাঁর নাচ ও রোম্যান্টিক উপস্থাপনা সিনেমাপ্রেমী দর্শকের মনে স্থায়ী আসন করে দেয়। রাজ্জাকের মিষ্টি চেহারা আর চাপল্য সে সময়কার তরুণ-তরুণীর মনকে দারুণভাবে আন্দোলিত করে।
রাজ্জাক প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান “কী যে করি” সিনেমার জন্য। এরপর চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১১ সালে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় এই বরেণ্য অভিনেতাকে।
Comments