ছাত্রলীগের কাছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়া ব্যক্তি এখন ঢাবির শিক্ষক

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের নেতার কাছ থেকে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এমন একজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের তৎকালীন শিক্ষক মতিয়ার রহমান (বামে) কুষ্টিয়ায় ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। মাঝে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় রয়েছেন অস্ত্র প্রশিক্ষক তৎকালীন ইবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সজিবুল ইসলাম সজীব। ডানে ছাত্রলীগ কর্মী সালাউদ্দিন আহমেদ।

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের নেতার কাছ থেকে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এমন একজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।

অভিযুক্ত মতিয়ার রহমান ঢাবির পরিসংখ্যান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

২০১৪ সালে অস্ত্র প্রশিক্ষণের ছবিটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মতিয়ার তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ছবিটিতে ইবি ক্যাম্পাসের মফিজ লেকের পাশে তাকে পিস্তলের নিশানা ঠিক করতে দেখা যায়।

মতিয়ারের পাশে সজিবুল ইসলাম সজিব ও সালাউদ্দিন আহমেদ নামের ছাত্রলীগের দুজনকে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখা যায়। তারা অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। এদের মধ্যে সজিব ইবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আর সালাউদ্দিন তার সহযোগী।

২০১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বরের আরেকটি ছবিতে ইবি ক্যাম্পাসে একটি মারামারির ঘটনায় সজীবকে গুলি করতে দেখা যায়।

অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ইবি কর্তৃপক্ষ সজীব ও সালাউদ্দিনের ছাত্রত্ব বাতিল করে।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে ইবি ক্যাম্পাসে মতিয়ারের এ ধরনের কাজের ব্যাপারে তারা অবগত ছিলেন না। ঢাবির পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ জলিল বলেন, “১০ মাস আগে নিয়োগ পেয়েছেন মতিয়ার। সে সময় আরও কয়েকজন নিয়োগ পান। তখন সিলেকশন কমিটি বিষয়টি জানতো না।”

তিনি আরও বলেন, “এই অভিযোগের ব্যাপারে জানলে কমিটি একে নৈতিক অবক্ষয় হিসেবে বিবেচনা করতো।”

বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও মতিয়ারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আর ঢাবির উপ উপাচার্য মো আখতারুজ্জামান বলেছেন, “এ ধরনের কোন অভিযোগের কথা আমি আগে শুনিনি, আমরা তার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি অপরাধেরও অভিযোগ পাইনি।”

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English
Psychological consequences of childhood physical punishment

Int'l day to end corporal punishment: The children grow but the scars remain

A few days ago, a post went viral on Facebook, saying “Today’s children may not comprehend why we were beaten in our childhoods”.

15h ago