জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যাচ্ছেন না সু চি
চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে থাকা মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সু চি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সু চি’র রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) একজন মুখপাত্র আজ বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে পুলিশের ৩০টি তল্লাশি চৌকি ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের এক যোগে হামলার পর গত ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগ শুরু হয়। প্রাণে বাঁচতে এ কয় দিনে ইতিমধ্যে প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এনএলডি ক্ষমতায় আসার পর গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মত জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছিলেন সু চি। ওই ভাষণে তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তার সরকারের অবস্থানের পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন। এর পরের মাসেই রাখাইনে আরেক দফা রোহিঙ্গা নির্যাতন শুরু হয়। তার রেশ কাটনে না কাটতেই গত ২৫ আগস্টের ঘটনার পর বাংলাদেশ অভিমুখে নতুন করে রোহিঙ্গা স্রোত শুরু হয়।
এনএলডি’র মুখপাত্র অং সিন জানান, সু চি এবছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না। তবে কী কারণে সু চি সম্মেলনে যাবেন না তার কোনো কারণ দেখাতে পারেননি তিনি। রয়টার্সকে অং সিন বলেন, “সমালোচনা বা সমস্যার সম্মুখীন হতে তিনি (সু চি) কখনোই ভয় পান না। হতে পারে দেশেই হয়ত তার কোনো জরুরি কাজ রয়েছে।”
রোহিঙ্গা নিপীড়নের কারণে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছেন সু চি। মিয়ানমার সরকারের ভূমিকাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ ও গণহত্যার সামিল আখ্যা দিয়ে প্রায় চার লাখ মানুষ সু চি’র নোবেল শান্তি পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
Comments