শান্তিপূর্ণভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
দেশের প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ৫৯টি জেলায় সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
তবে হাইকোর্টের নির্দেশে বগুড়ায় চেয়ারম্যানসহ তিনটি সদস্য পদে ও কুড়িগ্রামে দুইটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তর—উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।
জেলা পরিষদ গঠনের জন্য একজন চেয়ারম্যান, পাঁচ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যসহ মোট ২০ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন।
বিএনপি এই নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়ায় অধিকাংশ চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা জয়লাভ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও ছোট কিছু দল চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে প্রার্থী দিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ভোটার আওয়ামী লীগের হওয়ায় ফলাফলে বিশেষ কোন হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা কম।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয় সে জন্য অন্তত ২৫টি জেলায় পুলিশের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২০ জন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।
মোবাইল ফোন বা অন্য কোন ধরনের ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র নিয়ে কাউকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
ইতোমধ্যে ৬১ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে ২২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ফেনী ও ঝালকাঠিতে চেয়ারম্যানসহ জেলা পরিষদের সব সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোট নেওয়া হয়নি। এই দুই জেলা ও পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা বাদে ৫৯টি জেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়।
Comments