জ্বলছে ডিসিসি মার্কেট, মালিকদের আশঙ্কা নাশকতা

এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি গুলশানের ডিসিসি মার্কেটের আগুন। আজ রাত দুইটার দিকে দোতলা মার্কেটটিতে আগুনের সূত্রপাত হলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল।
এদিকে, মার্কেটের দোকান মালিকরা আশঙ্কা করছেন আগুনের ঘটনাটি নাশকতামূলক।
এই মার্কেটটিতে ৬০০ বেশি দোকান রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে সবগুলোই পুড়ে গেছে। ভোরের দিকে মার্কেটটির কাঁচাবাজারের অংশ ধসে পড়ে।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
পাকা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এসএম তালাল রিজভী বলেন, একজন নিরাপত্তাকর্মী রাতে তাকে মার্কেটের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আগুনের ঘটনাটি জানান।
তবে এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বাবুল মিয়া উদ্ধার কাজের বিষয়ে বলেন, ভোরের দিকে অন্তত ছয়জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছিল।
মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, “দোতলা এই মার্কেটের তিন দিকেই রাস্তা আর পেছনে গুলশান লেক। কিন্তু আগুন নেভাতে এতো সময় লাগছে কেন?”
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হক আগুন লাগার ঘটনাটিকে একটি নাশকতা বলে মন্তব্য করেন। এর আগে তিনি ব্যবসায়ী এবং অন্যান্যদের সঙ্গেও কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ঘটনাটি নাশকতা নাকি দূর্ঘটনা তা নিশ্চিত করে জানাতে হবে। লোকজনকে বোকা ভাবা ঠিক হবে না। এধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। কিন্তু কেন?”
এছাড়াও, আগুনের কারণ যথাযথভাবে জানতে তিনি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং দোকান মালিকদের মধ্যে যৌথ সভা আয়োজন করার প্রস্তাব দেন।
“যদি ঘটনাটি একটি নাশকতা হয় তাহলে অপরাধীদের খুঁজে বের করতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে আগুন লাগার পেছনে দায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে।”
কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শের মোহাম্মদ অভিযোগ করে বলেন, “আমরা নিশ্চিত যে এটি একটা নাশকতামূলক কাজ।”
নাশকতার বিষয়ে সরাসরি কোন উত্তর এড়িয়ে গিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “আমাদের আগে আগুন নেভাতে দিন।”
কাঁচা বাজার এলাকার নিরাপত্তকর্মী নুর মোহাম্মদ এই প্রতিবেদককে জানান যে মার্কেটের দক্ষিণ দিকে একটি ট্রান্সমিটার বিষ্ফোরণের ফলে আগুনের সূত্রপাত হয়।
তিনি বলেন, “রাত দুইটার দিকে একটি বিকট শব্দ শুনতে পাই।”
তিনি আরও বলেন, “কয়েক মিনিটের মধ্যেই মার্কেটের দক্ষিণ অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আমি তখন চিৎকার করতে শুরু করি।”
অন্য একজন নিরাপত্তাকর্মী মতিউর রহমান বলেন, “আগুন ধরার সময় আমি নুরের সঙ্গে ছিলাম। আমরা দুজনেই আগুন নিভাতে গিয়ে ব্যর্থ হই।এরপর আমরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই।”
Click here to read the English version of this news
Comments