ট্রাম্পের নির্দেশে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
সিরিয়ায় একটি বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতরাতে এই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, হোমসের পশ্চিমাঞ্চলের এই ঘাঁটি থেকে বাশার আল আসাদের অনুগত বিমান বাহিনী গত মঙ্গলবার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালিয়েছে।
হামলার নির্দেশ দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার বৃহৎ স্বার্থে” তিনি আসাদ বাহিনীর ওপর হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিরিয়ায় হামলার ব্যাপারে তারা আগেই রাশিয়াকে অবহিত করলেও মস্কোর অনুমতি চাওয়া হয়নি। বিমান ঘাঁটিটির যে অংশে রুশরা রয়েছে সেখানেও কোন হামলা হয়নি।
U.S. Department of Defense releases video of Tomahawk cruise missiles being launched from a Navy destroyer aimed at a Syrian airfield. pic.twitter.com/oeaRBvMl7P
— Reuters Top News (@Reuters) April 7, 2017
পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস বলেছেন, ভূমধ্যসাগরে অবস্থানরত দুটি যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার ও ইউএসএস রস থেকে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। শায়রাত বিমান ঘাঁটির বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুতে এগুলো আঘাত করেছে। পেন্টাগন থেকে আরও বলা হয়, এই বিমান ঘাঁটি থেকেই রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালিয়েছে আসাদ বাহিনী।
মঙ্গলবার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত খান শেখউন শহরে বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাসের সংস্পর্শে এসে অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।
তবে কোন ধরনের রাসায়নিক হামলার কথা অস্বীকার করেছে সিরিয়া সরকার। তাদের অভিযোগ বিদ্রোহীদের রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডারে বিমান হামলার পর এই ঘটনা ঘটেছে।
সিরিয়ায় শেষ কয়েক দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতির পরিবর্তন হিসেবে ধরা হচ্ছে। গত ছয় বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে ওয়াশিংটনের এই হস্তক্ষেপ রাশিয়া ও ইরানের সাথে সংঘাতের আশঙ্কাকেই বাড়িয়ে তুললো।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি ও জাপানি ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে।
Comments