চা বিরতির পর রুবেল-শুভাশিসের সাফল্য

সেঞ্চুরির পর ডিন এলগার। ছবি: এএফপি

চা বিরতির আগে ডেন এলগারকে আউট করে উদ্বোধনী জুটি ভেঙ্গেছিলেন শুভাশিস রায়। বিরতির পর আরেক ওপেনার এইডেন মার্কারামকে বোল্ড করেন রুবেল হোসেন। 

টেম্বা বাভুমাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন শুভাশিস। দিনের শুরুতে একেবারেই সাদামাটা বাংলাদেশের বোলিং পায় কিছুটা ছন্দ। ২৪৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ২৮৮ রানে পড়ে স্বাগতিকদের তৃতীয় উইকেট। 

তবে সাময়িক বিপর্যয় সামাল দিয়ে দলকে টেনে নিচ্ছেন ফাফ ডু প্লেসি ও হাশিম আমলা।

৫৪তম ওভারে শুভাশিসের বাউন্সারে পুল করতে গিয়েছিলেন এলগার। কিন্তু টপ এজ হয়ে তা চলে যায় ফাইন লেগে দাঁড়ানো মোস্তাফিজের হাতে। ১৫২ বলে ১১৩ রান করে আউট হন এলগার। টেস্টে এ বছর তিনি হাজার রানও পুরণ করেছেন এই সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে। 

-

আগের টেস্টে ২০০ রানের আগে প্রথম উইকেট পড়েছিল। এবার তাও না। টসে বাংলাদেশের কাছ থেকে ব্যাটিং উপহার পেয়ে রীতিমতো ওয়ানডের গতিতে রান তুললেন এইডেন মার্করাম আর ডিন এলগার। দুজনেই করে ফেলেছেন সেঞ্চুরি। দলের রানও ছাড়িয়ে যায় দুশোর কোটা।

প্রথমে এলগার পরে মার্করাম। মার্করামের সেঞ্চুরির সময় দলের রান বিনা উইকেটে ২১১। টস জিতেও স্বাগতিকদের আবার ব্যাটিং দেওয়ায় দুই সেশন শেষ হওয়ার আগেই প্রশ্নবিদ্ধ মুশফিকুর রহিম। 

টসের সময় প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি বলছিলেন এই উইকেটে টস জিতলে ১০ বারের ৯ বার ব্যাটিং নেওয়ার কথা ভাবতেন তিনি। পিচে বাউন্স আছে, ঘাসও আছে কিছু তবে তার সবই যে মরা। বাড়তি বাউন্সে বরং বল ব্যাটে আসবে ভালো। রান হবে দ্রুত। মুশফিক বুঝলেন অন্য। উইকেট থেকে প্রথম দেড় ঘণ্টার ফায়দা আদায় করতেই নাকি বোলিং। কোথায় কি! আগের ম্যাচের দিশেহারা বোলাররা।  

একাদশ বদলালেও বদলায়নি বোলিংয়ের দশা।  তবে দিতে পারলেন না নতুন কিছু। সেই আলগা বল, ব্যাটসম্যানের পাতে তুলে দেওয়া হাফ ভলিতে চাপ তৈরি করা যায়নি। উলটো প্রোটিয়াদের রান উঠেছে তরতর করে। 

চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন ইমরুল 

৩৫তম ওভারের পঞ্চম বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে ফেলেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। গুড লেন্থের বল মার্কারামের ব্যাটের কানায় গেলে এক বাউন্সে চলে যায় স্লিপে। ইমরুল কায়েস সে বল ধরতে গিয়ে হাঁটুতে পেলেন চোট। ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে মাঠই ছাড়লেন তিনি। 

চোটের কারণে দলে নেই ওপেনার তামিম ইকবাল। ইমরুল কায়েসের চোটের কি অবস্থা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের শরীরী ভাষাতেই ফুটে উঠেছে অস্বস্তি। 

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

‘Seize the moment to anchor democracy’

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

4h ago