নতুন সরকারের ওপর ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ভার
এখনই নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করছে না সরকার। ১৫ শতাংশ একক ভ্যাট নিয়ে জনমনে অসন্তোষ ও ব্যবসায়ী মহলের দিক থেকে চাপের প্রেক্ষিতে দুই বছরের জন্য ভ্যাট আইন কার্যকর পেছানো হল। অর্থাৎ নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ভার পড়বে আগামী নতুন সরকারের ওপর।
বহুল আলোচিত ‘ভ্যাট এন্ড সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি এক্ট ২০১২’ আগামী মাস থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। নতুন আইনে একক ও অভিন্ন ১৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত ১৯৯১ সালের আইনটিই বলবত থাকবে।
সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পর নানা মহল থেকে সমালোচনার পর এই আইন বাস্তবায়ন থেকে কার্যত পিছিয়ে এলো সরকার। এখন নতুন আইনটি বাস্তবায়নের ভার সামনের জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন সরকারের ওপর পড়বে। ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ অথবা তার পরের বছরের শুরুতে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন পেছানোর পাশাপাশি স্বল্প পরিমাণ আমানতের ব্যাংক হিসাব থেকে বাড়তি আবগারি শুল্ক না আদায় করারও সিদ্ধান্ত এসেছে। তবে বেশি টাকা রাখলে পূর্বে প্রস্তাবিত হারেই আবগারি শুল্ক কাটা হবে।
গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনই ভ্যাট আইন কার্যকর না করতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে অনুরোধ জানানোর পর এই ঘোষণা আসে।
নতুন ভ্যাট আইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা নিয়ে যেহেতু নানা কথা উঠেছে, ব্যবসায়ীরা তেমন একটা সাড়া দিচ্ছেন না।…আগামী দুই বছর এ ভ্যাট আইন পুরোপুরি কার্যকর না করে যেভাবে আছে, সেভাবে যাতে ভ্যাট আদায় হয়, সেটাই বজায় রাখবেন—সবার পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।”
এসময় ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক না বাড়াতেও অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপরই অর্থমন্ত্রী নতুন ভ্যাট আইন স্থগিত রাখাসহ অন্যান্য শুল্ক সংশোধনের কথা জানান ও সংসদে তা কণ্ঠভোটে অনুমোদিত হয়।
এর আগে সংসদে বাজেট আলোচনায় সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের জন্য মূলধন হিসেবে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এক সাংসদ মুহিতের সমালোচনা করেন।
Comments