না ফেরার দেশে লাকী আখন্দ

​বাংলা গানের শ্রোতাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার দিন ছিলো গতকাল। কারণ এত বছর ধরে যিনি ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’ গেয়ে শ্রোতা হৃদয়কে উদ্বেলিত করেছেন সেই লাকী আখন্দ গতকাল না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
লাকী আখন্দ

বাংলা গানের শ্রোতাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার দিন ছিলো গতকাল। কারণ এত বছর ধরে যিনি ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’ গেয়ে শ্রোতা হৃদয়কে উদ্বেলিত করেছেন সেই লাকী আখন্দ গতকাল না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী লাকী আখন্দ বহু গান গেয়েছেন জীবনভর। সেই সাথে সংগীত পরিচালনা, গীতিকার ও যন্ত্রসংগীতের মাধ্যমেও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তার গান মানুষকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছে।

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে ৮০’র দশকে লাকী আখন্দের অনেক জনপ্রিয় গান ছিল তরুণদের মুখে মুখে। ‘আমায় ডেকো না’, ‘এই নীল মণিহার’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, বা ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ গানগুলো সময়ের গণ্ডি পেরিয়ে এখনও সমান জনপ্রিয়।

একাকীত্ব, ভালোবাসার জন্য আকুলতা ও গভীর বিষাদের মূর্ত রূপ ছিল লাকী আখন্দের গান। গতকাল বিকালে সবাইকে সেই বিষাদে নিমজ্জিত করে তার মৃত্যুর সংবাদ। দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর শোক জানান।

২০১৫ সালে লাকী আখন্দের ফুসফুসে ক্যান্সার সনাক্ত হয়। সে বছর ৮ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংককেও নেওয়া হয়েছিল তাকে।

গত বছর মার্চ মাসে দেশে ফিরে আসেন লাকী আখন্দ। এর পর থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

অবস্থার উন্নতি হলে, দুই সপ্তাহ আগে বিএসএমএমইউ থেকে এই মুক্তিযোদ্ধা শিল্পীকে তার আরমানিটোলার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক জটিলতা তৈরি হওয়ায় গতকাল তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তার জীবনাবসান হয়।

১৯৫৫ সালে পুরনো ঢাকায় জন্ম নেওয়া লাকী আখন্দের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।

Comments

The Daily Star  | English

Corruption, zero-sum politics and democratic decline

Governments that score low in corruption indexes are more prone to use force and violence to control and suppress dissensions and protests.

4h ago