জাতিসংঘে ফের মিয়ানমারের মিথ্যাচার, অভিযোগ অস্বীকার
রাখাইনে রোহিঙ্গাবিরোধী সেনা অভিযান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেছেন, মিয়ানমারে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোনো ‘গণহত্যা’ বা ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ চলছে না। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘ সেখানকার পরিস্থিতিকে জাতিগত নিধনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করলেও দেশটি তরফে বলা হয়েছে, রাখাইন ছেড়ে মুসলিমদের চলে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে তারা জানেন না।
রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ অং সাং সু চি বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছেন। সমালোচনা এড়াতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন তিনি। কিন্তু নিজে না গেলেও তার সরকারের উপরাষ্ট্রপতি সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে সু চি’র বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি করে এসেছেন।
নিধনযজ্ঞের কথা অস্বীকার করার পাশাপাশি জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত দাউ দো সুয়ান রাখাইনের অবস্থা বর্ণনা করতে যেসব দেশ ‘গণহত্যা’ বা ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ এই শব্দগুলো ব্যবহার করেছে তাদেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন।
১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অনেক সদস্য রাষ্ট্রই রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে মিয়ানমার সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। ছয় দিনের এই অধিবেশনের শেষে এসে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত এসব সমালোচনাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ ও ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ হিসেবে প্রতিবাদ জানান। তবে সুনির্দিষ্ট করে সমালোচনাকারী কোনো দেশের তিনি নাম নেননি।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ৩০টি অবস্থানে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর রোহিঙ্গা নিধন অভিযানে নামে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। নিপীড়ন থেকে বাঁচতে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এই বিশাল শরণার্থী জনগোষ্ঠীর দুর্দশার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রদের মধ্যে অনেকেই মিয়ানমার সরকারকে দায়ী করেছে।
Comments