পি কে হালদারের অর্থ পাচার সংক্রান্ত নথি হাইকোর্টে তলব
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সরকারকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ ও তার বিরুদ্ধে মামলার নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট বলেছেন, পি কে হালদারসহ সব দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে জারি করা একটি রুলের শুনানির পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন।
এ বিষয়ে আরও শুনানি ও আদেশের জন্য আদালত আগামী ৯ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন। আইন ও সংবিধান মেনে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার জন্য বাধ্য বলে হাইকোর্ট জানান।
আজ শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান আদালতকে বলেন, পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের জন্য দুদক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করেছে।
তিনি জানান, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে ইন্টারপোল আদালতের আদেশ চেয়েছে। তাই, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য দুদক ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে আবেদন করেছে।
তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এখনও আসেনি বলে জানান তিনি।
খুরশিদ আলম খান জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পি কে হালদার ৪৩ কোটি টাকার ৫৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
এর আগে, গত ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের জন্য এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছিলেন।
Comments