প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রান কি যথেষ্ট?

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মুশফিকুর রহিমকে আউট করার পর সতীর্থদের সাথে ন্যাথান লায়নের উদযাপন। ছবি: এএফপি

৬ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন মুশফিকরা। যোগ হলো আর কেবল ৫২ রান। পড়ে গেল বাকি চার উইকেট। প্রথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে জমা ৩০৫ রান। এই রান কি আসলে যথেষ্ট? কি ইঙ্গিত মিলছে চট্টগ্রামের পিচে? 

দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ কতদূর যাবে সবই নির্ভর করছিলো মুশফিকুর রহিম ও নাসির হোসেনের পর। তারা টানতে পারেননি বেশি। প্রথম আধাঘণ্টা কোনমতে পার করে দেওয়ার পরই ন্যাথান লায়নের শিকার মুশফিক। ডিফেন্সিভ পুশ করতে গিয়েও দিনের পঞ্চম ওভারে ইনসাইড এজ হয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। থেমে যায় তার ১৬৬ বলে ৬৮ রানের লড়াই।

নাসির হোসেন তো ব্যাটসম্যানই। মেহেদী হাসান মিরাজও মিরাজও চালাতে জানেন ব্যাট। এই দুজন মিলে তবু সাড়ে তিনশ পর্যন্ত টানতে পারতেন। সেটা হয়নি ৪৫ রান করেই নাসিরের দায়িত্ব শেষ মনে করায়। বাকিদের উপর ভরসা করে না দল। টেনেটুনে তবু পেরুনো গেছে ৩০০ রানের কোটা। ৭ উইকেট তুলে মূল হন্তারক অফ স্পিনার ন্যাথান লায়ন।

লায়নের অমন সাফল্যই আবার ৩০৫ রান করেও বাংলাদেশকে দিচ্ছে আশা। দ্বিতীয় দিনেই উইকেটে মিলছে আচমকা বাউন্স, টার্ন পাচ্ছেন স্পিনাররা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এর আগে ১৬টি টেস্ট হয়েছে। তাতে রান উঠেছে বেশ ভালোই। এখানে পাঁচশ রানের বেশি ইনিংস দেখা গেছে পাঁচবার। তিনশ রানের বেশি তো হয়েছে অহরহ। তবে সবটাই গেল অক্টোবরে ইংল্যান্ড সিরিজের আগে।

ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়েই উইকেটের চরিত্র পালটে নেওয়ার যুগ শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। আগে খেলা পাঁচদিনে নিয়ে ড্র করার পিচ বানাতো বাংলাদেশ। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বদলে দেন সেই অ্যাপ্রোচ। তিনি ঠিক করেন হয় জিতব, নয় হারব। তার চাওয়াতেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘূর্ণি পিচ বানায় বাংলাদেশ। আসে সাফল্য। শুরুটা এই চট্টগ্রামের মাঠেই। সেবার জয়ের খুব কাছে গিয়েও হেরেছিলো বাংলাদেশ। তবে জেতার সম্ভাবনা তৈরি করতে পেরেই উইকেটের রেসিপি পেয়ে যায় মুশফিকরা। যা কাজে লেগেছে ঢাকায় পরের টেস্টেই।

চট্টগ্রামে এই পিচে রান থাকলেও ক্রমশ স্পিনাররাই হয়ে উঠেন বিপদজনক। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে টার্ন। পেসাররাও চাইলে আদায় করতে পারে রিভার্স স্যুয়িং। শেষ সিরিজে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড কোনো দলই করতে পারেনি ৩০০ রান। প্রথম ইনিংসে ২৯৩ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিলো ইংল্যান্ড। জবাবে বাংলাদেশ থেমে গিয়েছিলো ২৪৮ রানেই। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড করতে পেরেছিলো ২৪০ রান। জয়ের খুব কাছে গিয়ে ২৬৩ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ এবার করেছে ৩০৫ রান। সাকিব-মিরাজরা ঘূর্ণি বলটা ঠিক জায়গায় ফেলতে পারলে এই রানটাই হয়ে উঠতে পারে ম্যাচ নির্ধারক।

Comments

The Daily Star  | English

Child victims of July uprising: Of abandoned toys and unlived tomorrows

They were readers of fairy tales, keepers of marbles, chasers of kites across twilight skies. Some still asked to sleep in their mother’s arms. Others, on the cusp of adolescence, had just begun to dream in the language of futures -- of stethoscopes, classrooms, galaxies. They were children, dreamers of careers, cartoons, and cricket.

10h ago