এবার ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ সম্মাননা হারালেন সু চি
মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সু চিকে দেওয়া ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ সম্মাননা ফিরিয়ে নিয়েছে অক্সফোর্ড শহরের নগর কাউন্সিল। রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তার এই সম্মাননা প্রত্যাহার করা হল।
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৭ সালে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল। অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল বলেছে, সু চি আর এই সম্মাননার উপযুক্ত নন।
এর আগে সু চিকে দেওয়া সম্মাননা স্থগিত করে ব্রিটেনের অন্যতম বৃহৎ ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিসন। সম্মাননা স্থগিতের পাশাপাশি তাকে দেওয়া সম্মানসূচক সদস্যপদও বাতিল করে সংগঠনটি। এ ছাড়াও ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ও সু চি'র সম্মানসূচক ডিগ্রি স্থগিত করার চিন্তা করছে বলে জানিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বলেন, “মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সহিংস অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে তখন থেকে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরুর তিন সপ্তাহের বেশি সময় নীরব থাকার পর গত ১৯ সেপ্টেম্বর সু চি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। কিন্তু শরণার্থীদের দুর্দশা লাঘবে কোনো কথা না বলায় বিশ্বব্যাপী তার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় শুরু হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অভিযোগ তোলে, ভাষণে সু চি মিথ্যাচার করেছেন।
মিয়ানমারে সামরিক শাসন চলাকালে সু চি গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলায় রেঙ্গুনে তাকে বছরের পর বছর ধরে গৃহবন্দী করে রেখেছিল জান্তা সরকার। বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আদর্শ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় তিনি প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণ করতে পারেননি। তার জন্য স্টেট কাউন্সেলরের একটি নতুন পদ তৈরি করা হয়।
Comments