শাফাতের বাবার সম্পত্তির হিসেব নিবে শুল্ক গোয়েন্দা

বনানী ধর্ষণ মামলার ২ আসামি রিমান্ডে

banani-accused
আহমেদ শাফাত এবং সাদমান সাকিফের মোবাইল ফোন ও পাওয়ার ব্যাংকের ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ছবি: স্টার

রাজধানীর বনানীর একটি অভিজাত হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্রীর ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামির রিমান্ড আজ মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অভিযুক্ত আসামি আহমেদ শাফাতকে ছয়দিন ও সাদমান সাকিফকে পাঁচদিনের রিমান্ডের অনুমতি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর আদালতের ম্যাজিট্রেট রাইহান উল ইসলাম।

এর আগে, ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণ পদ রায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “ধর্ষণ মামলার দুজন অভিযুক্ত আসামি আহমেদ শাফাত এবং সাদমান সাকিফকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তারা এ বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।”

তিনি আশা করেন যে আসামিদের দেওয়া তথ্য মামলাটিকে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাবে।

ধর্ষণ মামলার পাঁচজন অভিযুক্তদের মধ্যে আহমেদ শাফাত এবং সাদমান সাকিফকে সিলেট শহরের পাঠানটোলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আজ সকালে ঢাকায় আনা হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) জাদেন আল মুসা জানান, ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি দল স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সিলেট শহরের পাঠানটোলা এলাকার “রশিদ মঞ্জিল” নামের একটি বাড়িতে গত রাত ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে শাফাত ও সাকিফকে গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, গত ৬ মে ধর্ষণের শিকার দুই ছাত্রী বনানী থানায় শাফাত ও সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে শাফাত ও নাঈম আশরাফ তাঁদেরকে ধর্ষণ করে এবং শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল, তার দেহরক্ষী এবং সাদমান সাকিফ এতে সহযোগিতা করে বলে অভিযোগ করা হয়।

এদিকে, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক মইনুল খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন যে গোয়েন্দারা শাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের সম্পত্তির উৎস খুঁজতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা দিলদার আহমেদ এবং তাঁর ছেলের ব্যাংক হিসাব জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “দিলদার আহমেদ স্বর্ণ ব্যবসা করে প্রচুর অর্থের মালিক হয়েছেন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে দেশে কোন স্বর্ণ আমদানি করা হয়নি। তাই আমরা জানতে চাই তিনি কিভাবে এতো অর্থ-সম্পত্তির মালিক হলেন।”

 

Click here to read the English version of this news

Comments