বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরিতে উ. কোরিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে: ক্যাস্পারস্কি

নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির সাথে উত্তর কোরিয়া জড়িত বলে সন্দেহ করছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাস্পারস্কি ল্যাব। প্রতিষ্ঠানটি গত সোমবার বলেছে, তাদের কাছে এমন ডিজিটাল প্রমাণ রয়েছে যা থেকে দেশটির ব্যাপারে কিছু গবেষকের সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে।

হ্যাকার গ্রুপ ‘ল্যাজারাস’ নিয়ে ৫৮ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রাশিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্যাস্পারস্কি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সনি পিকচারস হ্যাকিংয়ের সঙ্গে গ্রুপটি জড়িত বলে মনে করা হয়। ২০১৪ সালে সনির হলিউড স্টুডিওতে সাইবার হামলার জন্য উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করেছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

ক্যাস্পারস্কির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ল্যাজারাস হ্যাকাররা উত্তর কোরিয়ার একটি আইপি অ্যাড্রেস থেকে ইউরোপের একটি সার্ভারের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র স্থাপন করে। ওই সার্ভার দিয়ে গ্রুপটির দ্বারা আক্রান্ত সিস্টেমগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

ক্যাস্পারস্কির গবেষক ভিটালি কামলুক রয়টার্সকে টেলিফোনে বলেছেন, হ্যাকিং গ্রুপ ল্যাজারাসের সাথে উত্তর কোরিয়ার সরাসরি যুক্ত থাকার বিষয়টি প্রথমবারের মত জানা গেলো। ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম এই গ্রুপটির গতিবিধি জানতে পারে ক্যাস্পারস্কি।

তবে হ্যাকিং নিয়ে ওয়াশিংটন, দক্ষিণ কোরিয়া ও সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া সরকার।

কামলুক আরও বলেছেন, এই হামলার পেছনে পিয়ংইয়ং এর হাত রয়েছে, তার পক্ষে এই কথা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এমনও হতে পারে হ্যাকাররা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদের উত্তর কোরিয়ান হিসেবে পরিচিত করানোর চেষ্টা করতে পারেন।

তবে তার মতে, এর সাথে উত্তর কোরিয়ার জড়িত থাকার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।

গত ২৯ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর এক কর্মকর্তাও রিজার্ভ চুরির জন্য উত্তর কোরিয়াকে দোষারোপর করেছিলেন। তার মতে “রাষ্ট্রীয় মদদে” বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরি হয়েছে। ওই কর্মকর্তা রিজার্ভ চুরির তদন্তের সাথে যুক্ত ছিলেন।

ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারাও বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এই সাইবার চুরির জন্য উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

2h ago