বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ ২০১৭

ঘূর্ণি বলে অস্ট্রেলিয়ার কাঁপন

Shakib Al Hasan celebrates Australia wicket
ম্যাথু রেনশোর উইকেট নেওয়ার পর সাকিব আল হাসান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চের আগেই কেল্লাফতে। আট অস্ট্রেলিয়ানকে সাজঘরে পাঠিয়ে ঈদের আগে আরেক উৎসবের উপলক্ষ তৈরি করে ফেলেছে বাংলাদেশ। হাতে মাত্র দুই উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ানরা পিছিয়ে আছে ১০৭ রানে।

আগের দিন যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা সেই স্টিভেন স্মিথ ফিরলেন শুরুতেই। মিরাজের ফ্লাইটেড বলটি এগিয়ে এসে ড্রাইভ করতে যেতেই বিপত্তি। বল ফাঁকি দিয়ে লাগলো স্টাম্পে। কুপোকাত অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। ম্যাচের নাটাই তখনই বাংলাদেশের হাতে চলে আসে। ৩৩ রানেই যে নেই চার উইকেট! স্মিথ করলেন মাত্র আট রান।

প্রথম সেশনের বাকিটা সময় সে নাটাই টেনে নিতে চাইলেন রেনশ আর হ্যান্ডসকম্ব। তাদের কারিকুরি ভালো লাগেনি তাইজুলের। আক্রমণে এসে শুরুতে মার খেলেও হ্যান্ডসকম্বকে ফাঁদে ফেলতে দেরি হয়নি তার।

তাইজুলের বলটা ঘুরবে ভেবেছিলেন হ্যান্ডসকম্ব। কিন্তু তাকে বোকা বানিয়ে সোজা গিয়ে লাগল পায়ে। আবেদন করতে দেরি, সিদ্ধান্তের আঙুল উঠাতে দেরি হয়নি আম্পায়ারের। ৩৩ রানে উইকেট পড়ার পর ৬৯ রানের জুটি ভাঙল হ্যান্ডসকম্বের আউটেই। ৬৭ বলে ৩৩ রান করেছেন এই ডানহাতি।

ম্যাথু রেনশ এরপরই নড়বড়ে হতে থাকলেন। তাইজুলের পকেটেই যেতে পারত তার উইকেটটি। আচমকা লাফিয়ে উঠা বলে ব্যাট ছুঁইয়েছিলেন। তা আরও আচমকা চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্যের কাছে। হাতে জমাতে পারেননি তিনি। তার খচখচানি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পরের ওভারে আক্রমণে এসে সাকিবের লাফিয়ে উঠা বলে রেনশোর ক্যাচ দ্বিতীয় চেষ্টায় জমাতে পেরেছেন তিনি। ১১৭ রানেই পড়ল ৬ উইকেট। হাফ সেঞ্চুরি থেকে পাঁচ রান আগেই থামলেন রেনশো। দুই উইকেট করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজ।

এরপর বিদায় নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর ম্যাথু ওয়েড। এখন ক্রিজে রয়েছেন অ্যাস্টন অ্যাগার ও প্যাট কামিন্স। তবে সাকিব-মিরাজরা যেভাবে বল ঘুরাচ্ছেন কপালে কি আছে ভেবে ভেবেই হয়ত হয়রান ওদের কোচ ড্যারেন লেম্যান।

Comments