বামপন্থিদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ কলকাতায়

নবান্নের সামনে ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষোভ করার অভিযোগে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বামফ্রন্টের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীকে।সঙ্গে আছেন আরো কয়েকজন নেতা-কর্মী। ছবি: স্টার

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বামপন্থি দলগুলোর ওপর লাগামহীন সন্ত্রাস চালানোর প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ সচিবালয় নবান্ন অভিযানের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধ চলছে।

পুলিশ মুর্হুমুহু লাঠিচার্জ, জল কামান এবং টিয়ারসেল ব্যবহার করেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশসহ প্রায় শতাধিক বিক্ষোভকারী এমনকি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও আহত হয়েছেন। কলকাতার পূর্ব দিকের প্রায় সব সড়কে সৃষ্টি হয়েছে নজিরবিহীন যানজট।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিরোধী বামফ্রন্ট সমর্থকরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। তখনই দু-পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয় এবং এক পর্যায় সেটা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই অবস্থা চলছে। গঙ্গালাগোয়া নবান্ন অভিমুখে যাওয়ার মেয়ো রোড, হোস্টিং, খিদিরপুর, শিবপুর রোড, ডাফরিন রোড এই পাঁচটি সড়কে খণ্ড যুদ্ধের ঘটনা দেখা গেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এ প্রসঙ্গে জরুরি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করার সময় পুলিশই উস্কানিমূলক কাজ করেছে। পুলিশই প্রথম ইট-পাথর ছুঁড়ে মারে। সেগুলো ক্যাচ ধরে ফের পুলিশের দিকে ছুঁড়ে মারা হয়। বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীসহ সিপিএমের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতারেরও নিন্দা জানান বিমান বসু।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বামফ্রন্টের রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটে সে কারণে নবান্নের সামনে গিয়ে হৈচৈ করে সংবাদমাধ্যমে নিজেদের ছবি প্রকাশ করার জন্য অহেতুক নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়েছিল বামফ্রন্টসহ ১১টি দল।

তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ নবান্নে নেই। তিন দিনের জেলা সফরে বীরভূমে অবস্থান করছেন প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই রয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব সহ স্বরাষ্ট্র সচিব ছাড়াও শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা এবং সিনিয়র মন্ত্রীরা। সে কারণেই রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী, আমলা কেউ নেই রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago