ব্লুমফন্টেইনে আরও কঠিন পরীক্ষা

দ্বিতীয় টেস্টের আগে ব্লুমফন্টেইনে অনুশীলন করছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, ছবি: সাকিব সোবহান

পচেফস্ট্রমের পিচ, আবহাওয়া অনেকটাই বাংলাদেশের মতো ছিল। তবু সেখানেই নাজেহাল হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারেননি ১০০ রানও। ব্লমফন্টেইনের পিচ ‘দেশি’ নয়। ওখানে পেসাররা পাবেন বাড়তি বাউন্স। তার উপর দলে নেই সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। কেমন করবে বাংলাদেশ?

ম্যাচ শুরুর আগের দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম তবু জানিয়েছেন খারাপ পরিস্থিতি থেকেও ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রাখেন তারা। আগের টেস্টে ভুলের পক্ষে সাফাই গাননি, করেছেন আত্মপক্ষ সমর্থন, ‘আমার মনে হয় ভালো করার সুযোগ আমাদের আছে। দলের সবাই জানে কি করতে হবে। যা ভুল হয়েছে তা পেছনেই ফেলে রাখতে চাই।’

ব্লুমফন্টেইনে এর আগে একটাই টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০০৮ সালের সে ম্যাচে সুখকর কোন স্মৃতি নেই। দুই ইনিংসে ১৫৩ ও ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। ওই ম্যাচে অবশ্য খানিকটা সুখস্মৃতি আছে মুশফিকের। ডেল স্টেইন, মাখায়া এনটিনিদের পেসের ঝাঁজ সামলে প্রথম ইনিংসে তখনকার তরুণ উইকেটকিপার মুশফিক করতে পেরেছিলেন ৪৮ রান।

তবে পিচ কিউরেটর জানিয়েছেন এবার মানুগা ওভালের পিচে রানও আছে অনেক। রান ছিলো পচেফস্ট্রমেও। বাংলাদেশ তো সেই ব্যাটিং স্বর্গেও মাত্র ৯০ রানে অলআউট হয়ে এসেছে।

চোটের কারণে তামিম ইকবালের না থাকা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে তামিমের না খেলার আনুষ্ঠানিক বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছে। তামিম না থাকায় ইনিংস উদ্বোধন করতে নামবেন ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। রানে ফিরতে সংগ্রামে থাকা এই দুজনের উপর আস্থা আছে মুশফিকের, ‘তারা ভাল একটা সুযোগ পাচ্ছে। তাদের উপর দলের আস্থা আছে, আমি আশা করি তারা তা কাজে লাগাতে পারবে।’



সাকিব-তামিম নেই। কন্ডিশন আর প্রতিপক্ষও কঠিন। মুশফিক আশা দেখছেন তারপরও, 'আমাদের জন্য একটা ভালো সুযোগ এখানে ভালো কিছু করার। আমি যদি ভুল না করে থাকি, এই দু'জনকে ছাড়া আমরা সম্ভবত শেষ টেস্ট খেলেছিলাম গলে। সেই টেস্ট আমরা ড্র করেছিলাম। সেটাও কিন্তু আমাদের জন্য অত সহজ ছিল না। ওই সময়ে শ্রীলঙ্কা দলে যে খেলোয়াড়রা ছিলেন তারা এখনকার ক্রিকেটারদের চেয়ে অনেক ভালো ছিলেন।'

চোট সমস্যা আছে দক্ষিণ আফ্রিকা দলেও। প্রথম টেস্টে আগুনে বোলিং করে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেওয়া মরনে মরকেল ছিটকে গেছেন চার সপ্তাহের জন্য। তার না থাকায় স্বস্তি পেতে পারেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সিরিজ শুরুর আগেই ডেল স্টেইন, ভারনন ফিল্যান্ডার চোটে পড়ায় এমনিতেও দুর্বল ছিল প্রোটিয়া পেস অ্যাটাক। এবার মরকেলও না থাকায় কার্যত দ্বিতীয় সারির পেস অ্যাটাক নিয়ে নামবে ডু প্লেসিরা।

প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভোগানো কাগিসো রাবাদা তেতেই আছেন। পেসারদের পিচেও চাঙ্গা থাকছেন ঘূর্ণি বোলার কেশব মহারাজ। বাংলাদেশের লড়াইটা তাই কঠিনই।

বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা আছে পেসারদের পারফরম্যান্স নিয়েও। একমাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়া বাকি দুই পেসার খুব একটা সমস্যায় ফেলতে পারেননি হাশিম আমলাদের। দ্বিতীয় টেস্টের দলে তাই পেস অ্যাটাকে আসতে পারে পরিবর্তন।

শুক্রবার ( ৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে খেলা।  পচেফস্ট্রমে প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা।

 

 

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

3h ago