মুস্তাফিজকে ঘিরে প্রশ্ন
মুস্তাফিজুর কি সোমবার হ্যাগলে ওভালে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে খেলতে পারবেন?
২১ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার কিন্তু খেলতে আগ্রহী। তবে তাঁর শরীরের বা-পাশের ব্যথার কারণে ফিল্ডিং করার সময় কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে, মাঠের ডিপ পয়েন্ট থেকে বল ছুঁড়ে মারার সময় এই সমস্যাটা তাকে ভোগাচ্ছে বেশ। টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে এই মুহূর্তে বিষয়টি খুবই পীড়াদায়ক।
বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রখ্যাত ক্রিকেটার কোর্টনি ওয়ালশ বলেন, “মুস্তাফিজুর অনেক দিন থেকেই খেলতে পারছে না। ইনজুরি থেকে ফিরে এসে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সে সবদিক থেকেই সুস্থ। এখন ভালো থাকলেও তার শরীরের ব্যথা পুরোপুরি সারেনি। সে পর্যবেক্ষণের মধ্যে আছে। যত তাড়াতাড়ি এটা শেষ হয় ততই মঙ্গল।”
মৃদুভাষী মুস্তাফিজুরের মন্তব্য, “যদি কোচ এবং ক্যাপ্টেন চান তাহলে খেলবো।” গত শনিবার ক্রাইস্টচার্চে প্রশিক্ষণ সেশন শেষে একথা বলেন মুস্তাফিজ।
গত ২২ জুলাই কাঁধের অস্ত্রোপচার শেষে মুস্তাফিজুর সবে খেলায় ফিরেছেন। ২২ ডিসেম্বর অকল্যান্ডে তিনি একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলেন নিউজিল্যান্ড একাদশের বিরুদ্ধে। উইকেটের দিকে বল করতে পারলেও ম্যাচে দেখা যায় মাঠ থেকে বল ছুঁড়ে মারা ও ডাইভ দেওয়ার সময় তিনি একটু অসুবিধা বোধ করছেন।
আইসিসির ২০১৫-১৬ সালের ‘উদীয়মান খেলোয়াড়’ খেতাব পাওয়া এই তরুণ সেনসেশন বলেন, “আমি এখনো হাল্কা ব্যথা অনুভব করছি। কিন্তু এটা আমার কাঁধে না, এটা এক পাশে। ডাক্তার অবশ্য বলেছেন এই ব্যথা কিছু দিন থাকবে। এই মুহূর্তে আমার থ্রোয়িং খুব একটা ভালো হচ্ছে না। ধীরে ধীরে এর উন্নতি হবে।”
ভয়ঙ্কর-সব কাটার খেলার ওস্তাদ মুস্তাফিজুর জানান, “প্র্যাকটিস করার সময় নতুন বলে আমার কাটারগুলো খেলার চেষ্টা করছি না। কিন্তু পুরনো বল দিয়ে তা করছি।”
মুস্তাফিজুরের রয়েছে ‘হোমসিকনেস’। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদেশের মাটিতে খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা। গত বছর সানরাইজারস হায়দ্রাবাদ-এর সঙ্গে খেলার সময় এসব টের পাওয়া যায়। তবে এই তরুণ পেসার বলেন যে তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে সফরে গেলে বেশ স্বস্তিতেই থাকেন।
গাল ভরা হাসি দিয়ে মুস্তাফিজুর বলেন, “(এখানে) খাবার নিয়ে কোন সমস্যা নেই। এই মাত্র ভাত খেয়ে উঠলাম। যদি দলের সঙ্গে থাকি তাহলে খাবার বা অন্য কিছু নিয়েই কোন সমস্যা বোধ করি না।”
আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিরে আসা নিয়ে তাঁর আগ্রহের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে লাজুক এই ক্রিকেটারের এক বাক্যে উত্তর: কে খেলতে না চায়?
মুস্তাফিজুরকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এখনও অবশ্য একদিন সময় হাতে আছে। অনেক বাংলাদেশির মতো মুস্তাফিজুরের নিউজিল্যান্ডের ভক্তরাও সোমবার বক্সিং ডে-তে তার বোলিং দেখতে চান।
ক্রিসমাসের বন্ধের আগের দিন এই রিপোর্টার যখন ক্রাইস্টচার্চের ব্যস্ত সিটি সেন্টার থেকে একটি সিম কার্ড কিনছিলেন তখন দোকানদার তাঁকে গর্ব ভরে তাঁর বাবার সঙ্গে মুস্তাফিজুরের একটি ছবি দেখান।
সেই তরুণ নিউজিল্যান্ডবাসী বলেন, “আমার বাবা আসলে গাড়ি চালিয়ে এই খেলোয়াড়দের ক্রাইস্টচার্চে আনেন। তিনি এই ছবিটা পোস্ট করেন। মুস্তাফিজুর খুব ভালো ফাস্ট বোলার। ক্রাইস্টচার্চে সাকিব আল হাসানের মতো মুস্তাফিজুর ও বেশ জনপ্রিয়।”
Comments